মারামারি
মারামারি

নরসিংদীর পাঁচদোনা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২

নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা মোড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন হামিদ মিয়া (২৮) ও হাসান মিয়া (২৮) নামের দুজন।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচদোনা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হামিদ মিয়া ও হাসান মিয়া পাঁচদোনা এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি লাল মিয়ার সমর্থক এবং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক নেতা মোসাদ্দেক হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। লাল মিয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের সমর্থক আর মোসাদ্দেক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। আধিপত্য বিস্তার, ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে ৫ আগস্টের পর থেকে দুই পক্ষের বিরোধ চলছিল। ঘটনাস্থল সদর উপজেলায় হলেও তা পলাশ আসনের আওতায়।

স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য, আগেও একই কারণে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে সংঘর্ষে মোসাদ্দেক পক্ষের রনি ও শুভ গুলিবিদ্ধ হন এবং শ্রমিক দলের নেতা আলম মিয়া (৫৫) গুরুতর আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে আলম মিয়ার মৃত্যু হয়। সর্বশেষ গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে দুই পক্ষ আবার মুখোমুখি হলে ককটেলের বিস্ফোরণ ও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশের গাড়িতেও হাতবোমা নিক্ষেপ করা হয়।

এ বিষয়ে কথা বলতে লাল মিয়া ও মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।

নরসিংদী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে এখনো কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।