আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর
আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর

চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ ‘সন্ত্রাসী’ ঢাকাইয়া আকবরের মৃত্যু

চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন ‘সন্ত্রাসী’ আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর মারা গেছেন। আজ রোববার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গত শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরের মৃত্যু হয়েছে। আকবর নগরের বায়েজিদ এলাকার মঞ্জু মিয়ার ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১০টি মামলা রয়েছে।

শুক্রবার রাতে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া অবস্থায় আকবরকে গুলি করা হয়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে আসা আকবরের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ তাঁর লোকজন দিয়ে আকবরকে গুলি করেছেন।

আকবর তাঁর ফেসবুক পেজে সাজ্জাদ ও তাঁর স্ত্রী তামান্না শারমিনকে কটূক্তি করে ভিডিও দিতেন। একই সঙ্গে সাজ্জাদের স্ত্রীর বিরুদ্ধেও আকবরকে হুমকি দিয়ে ভিডিও দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে গ্রেপ্তার হন সন্ত্রাসী সাজ্জাদ। এরপর ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোডে একটি প্রাইভেট কারকে লক্ষ্য করে গুলি করলে দুজন নিহত হন। সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিলেন সাজ্জাদের অনুসারীরা। কিন্তু সারোয়ার ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। পরে গ্রেপ্তার আসামিরা জবানবন্দিতে স্বীকার করেন, ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়াসহ পাঁচ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা সরোয়ারকে গুলি করেন। সরোয়ার ও আকবর দুজনই সাজ্জাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত।