আহত শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশ শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। আজ সকালে তোলা
আহত শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশ শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। আজ সকালে তোলা

শ্রীপুরে ভূমিকম্পে কারখানা থেকে নামার সময় হুড়োহুড়িতে দেড় শতাধিক শ্রমিক আহত

গাজীপুরের শ্রীপুরের ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে বহুতল ভবন থেকে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে দেড় শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে কেওয়া পূর্বখণ্ড গারোপাড়া এলাকায় ডেনিমেক নামের একটি পোশাক কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত শ্রমিকদের মধ্যে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন ১৩০ জন। এ ছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আরও ২০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন মামুনুর রহমান।

শ্রমিক ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ভূমিকম্প শুরু হলে ডেনিমেক কারখানার বহুতল ভবনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন তলার শ্রমিকেরা আতঙ্কে একসঙ্গে নিচে নেমে আসার চেষ্টা করেন। এ সময় হুড়োহুড়িতে পদপৃষ্ট হয়ে ওই শ্রমিকেরা আহত হন।

কয়েকজন শ্রমিকের অভিযোগ, ভূমিকম্পের আতঙ্কের মধ্যে কারখানার মূল ফটকটি কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক খুলতে রাজি হয়নি। এতে আরও বেশি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আহত শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে তাড়াহুড়া করে বহুতল ভবন থেকে নামতে গিয়ে আহত এক নারী শ্রমিককে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন সহকর্মীরা। আজ সকালে কেওয়া পূর্বখণ্ড গারোপাড়া এলাকায়

মো. নিজাম উদ্দিন নামের এক শ্রমিক বলেন, তিনি নামতে গিয়ে সিঁড়ির কাছে গিয়ে প্রচণ্ড ভিড় দেখেন। এর মধ্যে খুব কষ্ট করে তিনি ভেতরের দিকে চলে যান। সেখানে গিয়ে আরও অনেকের চাপে তাঁর দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। নুরুল আলম নামের অপর এক শ্রমিক বলেন, কারখানার শ্রমিকেরা নিচে নেমে গেলে সেখানে মূল ফটক খুলতে রাজি হননি নিরাপত্তাকর্মীরা। পরে শ্রমিকেরা একত্রে ধাক্কা দিয়ে ফটক খুলে বাইরে বেরিয়ে আসেন।

এসব বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কারখানা কর্তৃপক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আহত শ্রমিকদের বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার কাজে ব্যস্ত আছি। প্রচুর রোগী এসেছেন। আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা ভবন থেকে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।’