Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান ভবনের ধসে পড়া অংশে কাজ বন্ধ আছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে

ভবন ধস তদন্তে কমিটি গঠনের চার দিন পর চিঠি ইস্যু

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ১০ তলা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হল ভবনের একটি অংশ ধসে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের চার দিন পর আজ রোববার দুপুরে কমিটির সদস্যদের কাছে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের একটি অংশ ধসে পড়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

চিঠির বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান সরকার কথা বলতে রাজি হননি। তবে কমিটির সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ইমরুল হাসান বলেন, তাঁর কাছে এখনো চিঠি আসেনি।

Also Read: ধসে পড়া ভবনে ‘ঝুঁকি’ নিয়ে কাজ চলছে, উপাচার্য বলছেন ভুল–বোঝাবুঝি

ধসে পড়া ভবনে কাজ নিয়ে উপাচার্যের নির্দেশনা

নির্মাণাধীন ভবনের একাংশ ধসে পড়ার ঘটনায় কাজ করা নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, ধসে পড়া ভবনে কাঠের অংশের কাজ চলবে এবং নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২৫ জন কাঠমিস্ত্রি আনা হয়েছে। তাঁদের কাজ চলমান থাকবে। তদন্ত শেষে সিভিল অংশের কাজ নিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

গত মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হল ভবনের একাংশ ধসে পড়ে। এ ঘটনায় নয়জন আহত হন। ওই দিন রাতেই জরুরি সভা ডেকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তবে ঘটনার চার দিন পর আজ দুপুরে তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১০ তলা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান আবাসিক হল ও ২০ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজ করছে রূপপুরের ‘বালিশ–কাণ্ডে’ আলোচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। বিভিন্ন সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন দুই ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। দুটি ভবনেই কাজ করেছে মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।

Also Read: চিঠি পৌঁছায়নি, তাই ভবন ধসের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়নি