ইসলামী ব্যাংক থেকে ৫৪৮ কোটি টাকা তুলে পাচারের অভিযোগে আলোচিত–সমালোচিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মো. সাইফুল আলম মাসুদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ইসলামী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মিফতাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা ও আকিজ উদ্দীন এবং মেহের স্পিনিং মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, পরিচালক শওকত উসমান, টপ টেন ট্রেডিং হাউসের মালিক আলমাছ আলী, গোল্ড স্টার ট্রেডিং হাউসের মালিক বেদারুল ইসলাম ও আলম ট্রেডিংয়ের মালিক নুরুল আলম।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সাইফুল আলম ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৫৪৮ কোটি টাকা বিভিন্ন হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করেন। পরে সেই টাকা বিদেশে পাচার করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে আসামিরা যোগসাজশে ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে ওই টাকা তুলে মেহের স্পিনিং, টপ টেন ট্রেডিং, গোল্ড স্টার ট্রেডিং ও আলম ট্রেডিংয়ের হিসাবে স্থানান্তর করেন। পরে অর্থগুলো আবার এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা হয়। তদন্তে প্রমাণ মেলে, সেসব অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
এর আগে এস আলম গ্রুপ ও এর কর্ণধারের সম্পদের বিষয়ে আদালত একাধিক আদেশ দেন। গত ৯ জুলাই সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা ৫৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়। গত ২৪ জুন বিদেশে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। ১৭ জুন ১৮০ কোটি টাকার জমি ক্রোক এবং ১৪ জানুয়ারি গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা, বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন এলাকায় ২০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ ক্রোকের পাশাপাশি ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন আদালত।
এ ছাড়া গত বছরের ৭ অক্টোবর এস আলম, তাঁর স্ত্রী, সন্তান, ভাইসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।