ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে হামলা ও ডাকাতির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স। গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের তিলপাড়া এলাকায়
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে হামলা ও ডাকাতির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স। গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের তিলপাড়া এলাকায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাত দলের হামলা, আহত ৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সড়কে গাছ ফেলে লাশবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারীসহ ৯ যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের তিলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা ফিরুজ মিয়া (৪৫) ও গাড়ির মালিক খলিল মিয়া (৪৮); মৃত ব্যক্তির স্বজন ও পূর্বভাগ ইউনিয়নের মুকবুলপুর গ্রামের বাসিন্দা রাসেল মিয়া (৩০), ছালেক মিয়া (৫০), নাহিদ মিয়া (৩৩), মো. আলমগীর মিয়া (৪৫), মো. সালাউদ্দিন (৩০), আলেয়া বেগম (৫০) ও আলী নেওয়াজ মিয়া (৪৯)।

ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের মুকবুলপুর গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব ছবদর আলী অনেক দিন ধরেই ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। কয়েক দিন আগে স্বজনেরা তাঁকে রাজধানীর মিরপুরে আহসানিয়া ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে রাতেই তাঁরা একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিয়ে নাসিরনগরের উদ্দেশে রওনা হন। গতকাল রাত একটার দিকে তিলপাড়া এলাকায় একদল ডাকাত সড়কে গাছ ফেলে অ্যাম্বুলেন্সের গতি রোধ করে। তারা দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। একপর্যায়ে গাড়ির ভেতরে লাশের সঙ্গে থাকা এক নারীসহ ৯ জনকে পিটিয়ে আহত করে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ যাত্রীদের কাছ থেকে ১০টি মুঠোফোন ও অর্ধ লক্ষাধিক টাকা লুট করেছে ডাকাত দলটি।

ছবদর আলীর ছেলে ও পূর্বভাগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর মিয়া বলেন, ‘টাকাপয়সা ও মোবাইল লুট করে নিছে, এতে কোনো দুঃখ নাই। কিন্তু আমার মৃত বাবার লাশের ওপর হামলা করেছে ডাকাতেরা, এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আলম প্রথম আলোকে জানান, ‘খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’