শিশু নির্যাতন
শিশু নির্যাতন

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুকে উদ্ধার

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিখোঁজের প্রায় সাত ঘণ্টা পর বন থেকে মো. শামীম (১০) নামের এক শিশুকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে তার পরিবার। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শামীম উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সে কীর্তনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা মো. শাহিন পেশায় নলকূপের মিস্ত্রি।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শামীম বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। দীর্ঘ সময় ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা বাড়ির আশপাশের বনাঞ্চলে অনুসন্ধান চালান। রাত সাড়ে সাতটার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের একটি বন থেকে শামীমকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

রাত নয়টার দিকে শামীমকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিশুটির মাথার সামনের অংশে গুরুতর আঘাত রয়েছে। সেখান থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমরা ঢাকায় রেফার করেছি।’

উদ্ধারের সময় শামীমের পরনে ছিল শুধু লাল রঙের একটি হাফপ্যান্ট। শামীমের নানা করিম সরদার ও মামা সাব্বির হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা ঢাকায় আছি। শামীমের এখনো জ্ঞান ফিরেনি। কে বা কারা বা কী উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ বিষয়ে আমরা কিছুই অনুমান করতে পারছি না। এ বিষয়ে সকালে থানায় মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’

সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিখোঁজের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেনেছি। পরে শুনেছি, শামীমকে বন থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। এ মুহূর্তে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’