Thank you for trying Sticky AMP!!

মানিকগঞ্জে নিখোঁজের দুই দিন পর নদীতে ভেসে উঠল যুবকের লাশ

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর ইয়াজুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবকের লাশ নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আশাপুর এলাকায় কালীগঙ্গা নদী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্বজনদের দাবি, মুঠোফোনে ইয়াজুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

নিহত ইয়াজুল উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের পূর্ব আশাপুর গ্রামের ছানোয়ার মিয়ার ছেলে। তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি বাড়িতে এসে কৃষিকাজ শুরু করেন। বিবাহিত ইয়াজুলের স্ত্রী ও চার বছরের এক ছেলে আছে।

ঘিওর থানা-পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত ৯টার দিকে মুঠোফোনে কল পেয়ে ইয়াজুল বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গতকাল রাতে আশাপুর গ্রামে কালীগঙ্গা নদীতে এক যুবকের লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য ইয়াজুলের লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

ইয়াজুলের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, মুঠোফোনে ইয়াজুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে তাঁর ভাইকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবি জানান তিনি।

আজ বুধবার সকালে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বলেন, ওই যুবক নিখোঁজের বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছিল। পরে রাতে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।