নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি

আটকের ৫ ঘণ্টা পর সাখাওয়াতকে ছেড়ে দিল ডিবি পুলিশ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াতকে (চশমা ও পাঞ্জাবি পরিহিত) আটক করা হয়
ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় আটক নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেনকে আটকের পাঁচ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় বিএনপির নেতা–কর্মীরা জড়ো হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীরা বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাঁদের লাঠিপেটা ও ১০টি শটগানের গুলি ও ৫টি  কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ডিবি পুলিশ সাখাওয়াত হোসেন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধানসহ সাতজনকে আটক করে।

ছাড়া পেয়ে বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন আজ রাত পৌনে নয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কোনো অবরোধ করিনি। সড়কেও উঠিনি। কিন্তু পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিএনপির নেতা–কর্মীদের লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো গুলি করেছে। লাঠিপেটা করেছে। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা–কর্মীরা ছিলেন।’

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমাদের বহু নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমি বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি। আমাকেসহ সাতজনকে আটক করা হয়। আমাকে ছাড়লেও অন্যদের ছাড়েনি পুলিশ।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাই লাউ মারমা প্রথম আলোকে বলেন, সাখাওয়াতকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আটক অন্যদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিমরাইলের ঘটনায় আনুমানিক ৫০টি শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।