এক্স–রে কক্সের দরজায় তালা লাগানো। সাঁটানো হয়েছে সেবা বন্ধ রাখার নোটিশ। সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে
এক্স–রে কক্সের দরজায় তালা লাগানো। সাঁটানো হয়েছে সেবা বন্ধ রাখার নোটিশ। সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল

ফিল্ম না থাকায় দেড় মাস ধরে বন্ধ এক্স-রে সেবা

লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে দেড় মাস ধরে এক্স-রে সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে গিয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা খরচ করে এক্স-রে করাতে হচ্ছে হাসপাতালের রোগীদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিল্ম না থাকায় এক্স-রে সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, এক্স-রে কক্ষের দরজায় তালা ঝুলছে। দরজায় ঝোলানো একটি নোটিশে লেখা হয়েছে—‘এক্স-রে ফিল্ম সরবরাহ না থাকায় আপাতত এক্স-রে করানো সম্ভব হইতেছে না’।

হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে গিয়ে কথা হয় এক রোগীর স্বজন ও সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের বাসিন্দা ফারুকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, হাসপাতালে এক্স-রে না হওয়ায় রোগীকে বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে হয়েছে। এতে টাকা যেমন বেশি খরচ হয়েছে, তেমনি পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে। অর্থোপেডিক বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও সেবিকারা বলেন, বিভাগটির বেশির ভাগ রোগীরই এক্স-রে প্রয়োজন হয়। হাসপাতাল থেকে বাইরে রোগী নিয়ে গিয়ে এক্স-রে করানো খুবই ভোগান্তির।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে এক্স-রে ফিল্ম শেষ হয়ে যায়। সিভিল সার্জন অন্য স্থানে বদলি হয়ে যাওয়াসহ নানা কারণে এক্স-রে ফিল্ম কেনা সম্ভব হয়নি। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী হাসপাতালের এক্স-রে সেবা নেন। বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে ডিজিটাল এক্স-রে করতে রোগীদের খরচ হয় ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। তবে সরকারি হাসপাতালে এর খরচ পড়ে ৬০ থেকে ১০০ টাকা। তা ছাড়া সদর হাসপাতালে উন্নত মানের ৩০০ এমএ এক্স-রে মেশিন থাকলেও বাইরে ১০০ বা ২০০ এমএ মেশিনে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।

জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অরুপ পাল প্রথম আলোকে বলেন, ফিল্ম না থাকার কারণে আপাতত এক্স-রে সেবা বন্ধ আছে। সিভিল সার্জন বদলি হয়ে যাওয়ার ফিল্ম কেনা সম্ভব হয়নি। নতুন সিভিল সার্জন যোগদান করেছেন। ফিল্ম কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে ফিল্ম পাওয়া যাবে।