
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তিন সংবাদকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। এ সময় তাঁদের ক্যামেরা ও মুঠোফোন ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। পরে তাঁরা শহরের খানপুরে ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
আজ বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার গিরিধারা বউবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শাহাদাৎ হোসেন (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
হামলায় আহত সংবাদকর্মীরা হলেন অনলাইন পোর্টাল জাগো নিউজের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা প্রতিনিধি মো. আকাশ (২৭), নিউজ নারায়ণগঞ্জ নামের একটি পোর্টালের ক্যামেরাম্যান আবদুল্লাহ মামুন (৩২) ও আয়াজ হোসেন (২৮)। আটক শাহাদাৎ হোসেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আতা-ই রাব্বির বাবা।
মো. আকাশ সাংবাদিকদের বলেন, ফতুল্লার গিরিধারা বউবাজার এলাকায় শাহাদাৎ হোসেন ও তাঁর ছেলে আতা-ই রাব্বির বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করেন এক নারী। ওই নারী ফতুল্লা থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে ও সংবাদ সংগ্রহ করতে আজ বিকেল চারটার দিকে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় শাহাদাৎ হোসেন লোকজন নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় তাঁদের তিনজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে একটি কক্ষে আটকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। তাঁদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরা ও মুঠোফোন ভেঙে ফেলা হয়। খবর পেয়ে অন্য গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাঁদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করা হয়। পরে পুলিশ তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিউজ নারায়ণগঞ্জ নামের অনলাইন পোর্টালের নির্বাহী সম্পাদক তানভীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জাগো নিউজের এক সাংবাদিকসহ তাঁদের দুজন কর্মী সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাঁদের ঘরের ভেতরে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে। তিনি হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত শাহাদাৎ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।