Thank you for trying Sticky AMP!!

কুষ্টিয়ায় চলছে শিখো-প্রথম আলো জিপিএ-৫ সংবর্ধনা

কুষ্টিয়ার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে শিখো-প্রথম আলো জিপিএ-৫ সংবর্ধনা

কুষ্টিয়ার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চলছে শিখো-প্রথম আলো জিপিএ-৫ সংবর্ধনা। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আয়োজন করা হয়েছে। এতে অংশ নিতে জেলার প্রায় ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে।

আজ সকাল আটটা থেকে কৃতী শিক্ষার্থীরা জেলার শিল্পকলা প্রাঙ্গণে আসতে থাকে। অনেকের সঙ্গে বাবা মা ও স্বজনেরাও এসেছেন। শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানস্থলে এসে নির্দিষ্ট বুথের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ক্রেস্ট ও স্ন্যাকস ব্যাগ সংগ্রহ করে। কেউ কেউ ফটো ফ্রেমের ভেতর দাঁড়িয়ে হাসিমুখে ছবি তোলে। বৃষ্টির কারণে সকাল ১০টার দিকে একাডেমির মুক্তমঞ্চে না হয়ে মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু হয়।

সারা দেশের ৬৪টি জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় জিপিএ-৫ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের উৎসবটি পাওয়ার্ড বাই ‘বিকাশ’। সহযোগিতা করছে কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বসন্তপুর সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে অনামিকা ইয়াসমিন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে বলে, বাড়ি ঝিনাইদহে হলেও কুষ্টিয়া থেকে সংবর্ধনা নিতে ভালো লাগছে। তার সঙ্গে আসা বান্ধবী রুবাইয়া জাহান বলে, ‘২০১৩ সালে বড় বোন হালিমা খাতুনও জিপিএ–৫ পেয়েছিল এবং সংবর্ধনা নিয়েছিল। আজ আমি জিপিএ-৫ পেয়ে প্রথম আলোর সংবর্ধনা নিতে এসেছি। খুবই ভালো লাগছে।’

শিখো-প্রথম আলো জিপিএ-৫ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কুষ্টিয়ার প্রায় ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে

কুষ্টিয়া শহরের রথখোলা এলাকার বাসিন্দা জয়ন্তী সাহা তাঁর মেয়ে প্রতিমা সাহাকে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘সকাল সকাল মেয়েকে নিয়ে এখানে আছি। অনুষ্ঠান দেখে আনন্দ পাচ্ছি।’

দিনব্যাপী উৎসবে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে ক্রেস্ট, অনলাইনে সার্টিফিকেট, প্রথম আলো ই-পেপার (১ মাস) ও চরকির (১৫ দিন) ফ্রি সাবস্ক্রিপশন, শিখোর সৌজন্যে বিনা মূল্যে কোর্স ও ফ্রেশ ব্র্যান্ডের স্ন্যাকস।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবির। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কখনো হতাশ হবে না। হতাশ হয়ে নিজের জীবনকে শেষ করবে না। নিজেকে এগিয়ে নিতে নিজের জীবনকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে। তবেই তুমি সফলতার শীর্ষে যেতে পারবে।’

কুষ্টিয়া বন্ধুসভার অর্থ সম্পাদক নাবিলা নূর তন্বীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন প্রথম আলোর উপসম্পাদক এ কে এম জাকারিয়া, কুষ্টিয়ার শিল্প উদ্যোক্তা ও প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, সমাজসেবক নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কুষ্টিয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক তৌহিদী হাসান। বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে।