ফরিদপুরে জামায়াতের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলটির নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে
ফরিদপুরে জামায়াতের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলটির নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে

হামলা করে জামায়াতকে স্তব্ধ করা যাবে না: এ টি এম আজহার

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ‘গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমি যত জায়গায় গিয়েছি, এই গণজোয়ার দেখে অনেকে আবোলতাবোল করা শুরু করেছেন। অনেক জায়গায় হামলা করা শুরু করেছেন। হামলা করে জামায়াতে ইসলামীকে স্তব্ধ করতে পারবেন না।’

মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে জেলা জামায়াত আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, যারা নিজেদের সব সময় দেশের পক্ষের শক্তি বলে, স্বাধীনতার পক্ষের কথা বলে, তারা আজকে কোথায়? তারা শুধু তাদের হাজার হাজার কর্মীকে ফেলে দিয়েই নয়, ১৮ কোটি মানুষকে অনিরাপদ রেখে স্বচ্ছন্দে জীবনযাপনের জন্য পাশের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আজকে সেখান থেকে আন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থির করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়, জনগণকে রেখে পালিয়ে যায়, আর যা–ই হোক, তারা দেশের পক্ষের শক্তি হতে পারে না।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘কিছু ব্যক্তি, যারা জামায়াতকে সহ্য করতে পারে না বলে দুটি কথা বলে বেড়ায়। একটি বলে যে জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীর কোনো স্বাধীনতা থাকবে না। তাদেরকে বোরকা পরতে হবে, চাকরি করতে দেওয়া হবে না। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমরা নারীকে শালীনভাবে চলতে পরামর্শ দিই। তবে আমরা নারীবিদ্বেষী নই। আমাদের বলা হয়, ক্ষমতায় গেলে হিন্দুদের কচুকাটা করবে। যখন হাসিনা ক্ষমতায় ছিল, দুর্গাপূজার সময় প্রায়ই মন্দির ভাঙা হতো। অগ্নিসংযোগ করা হতো। আর দোষ চাপানো হতো ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর ওপর। ২০২৫ সালে বাংলাদেশে দুর্গাপূজা হয়েছে, বাংলাদেশের একটি পূজায় হামলা করা হয় নাই, মূর্তি ভাঙা হয় নাই। আমাদের অমুসলিম ভাইয়েরা, আপনারা আশ্বস্ত হন, যদি জামায়াত ক্ষমতায় যেতে পারে, সবাই আপনারা নিরাপদ থাকবেন। এই বাংলাদেশ সবার, শুধু মুসলমানদের নয়।’

ফরিদপুর জেলার চারটি আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এই চারজন প্রার্থীকে আপনাদের কাছে রেখে গেলাম, রেখে গেলাম রক্তভেজা শহীদের জায়গা ফরিদপুরে। শহীদের রক্তের বদলা নিতে হলে চারজন প্রার্থীকে জয়লাভ করাবেন ইনশা আল্লাহ।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির মুহাম্মদ বদর। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, ফরিদপুর-১ আসনের প্রার্থী মো. ইলিয়াস মোল্লা, ফরিদপুর-২ আসনের প্রার্থী সোহরাব হোসাইন, ফরিদপুর-৩ আসনের প্রার্থী আব্দুত তাওয়াব, ফরিদপুর-৪ আসনের প্রার্থী মো. সরোয়ার হোসাইন।