
প্লাস্টিক ও জৈববর্জ্য থেকে বিকল্প জ্বালানি উৎপাদন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, ভূমিকম্প ও ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কতা কিংবা মাতৃত্বকালীন ঝুঁকি নির্ণয়ে ডেটাসেটের ব্যবহার—বিভিন্ন সম্ভাবনাময় গবেষণা নিয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) হাজির হয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ গবেষকেরা। তবে এসব গবেষণার সারসংক্ষেপ উপস্থাপনের জন্য তাঁদের সময় দেওয়া হয়েছিল মাত্র তিন মিনিট।
গতকাল শুক্রবার চুয়েটের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিযোগিতা ‘থ্রি মিনিট থিসিস’ (থ্রিএমটি)। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করে প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার্সের (আইইইই) চুয়েট শাখা।
প্রতিযোগিতায় ভিডিও বা স্লাইড ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। একটি স্থিরচিত্র বা পোস্টারের মাধ্যমে গবেষণার পটভূমি, পদ্ধতি, ফলাফল এবং প্রভাব—সবকিছু তিন মিনিটে তুলে ধরতে হয় অংশগ্রহণকারীদের।
সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া এই আয়োজনে দেশের ৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৪৫ জন তরুণ গবেষক অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় চুয়েট শিক্ষার্থী সাবিহা মারিয়ামের দল। দ্বিতীয় হয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. তাহসিনুর রহমানের দল।
গবেষণা উপস্থাপনার পাশাপাশি বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত হয় পোস্টার প্রদর্শনী প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নেন ৯০ জন শিক্ষার্থী। এরপর আয়োজন করা হয় দুটি কি–নোট সেশন। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. ইমামুল হাসান ভূইয়া এবং চট্টগ্রাম সোশ্যাল বিজনেস সেন্টারের পরিচালক আবিদা সুলতানা।
সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চুয়েটের উপাচার্য মোহাম্মদ মাহমুদ আবদুল মতিন ভূঁইয়া। প্রতিযোগিতার সহযোগী পৃষ্ঠপোষক ছিল প্রথম আলো। আয়োজকেরা জানান, শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করে তুলতে ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্রিএমটি প্রতিযোগিতার সূচনা হয়।