Thank you for trying Sticky AMP!!

ঈশ্বরগঞ্জে গাছে ঝুলছিল লাশ, খবর পেয়ে উদ্ধার করল পুলিশ

লাশ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রাম থেকে আজ সোমবার মিঠুন সাহা (৪০) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের মৃত হরেন্দ্র চন্দ্র সাহার ছেলে।

মাইজহাটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, লাশটি একটি একটি মেহগনিগাছের কাণ্ডে নতুন রশিতে ঝুলছে। সেখানে প্রচুর লোকজনের ভিড়। লাশের দুটি পা একসঙ্গে একটি চাদর দিয়ে শক্ত করে বাঁধা রয়েছে। দূরে পড়ে রয়েছে একজোড়া জুতা। এ দৃশ্য দেখে কয়েকজন নারী ও পুরুষ মন্তব্য করছেন নিজের পা চাদর দিয়ে বেঁধে কেউ কি ফাঁসিতে ঝোলে?

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিঠুন সাহা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরপ্রবাসী ছিলেন। তিন বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
মিঠুনের বন্ধু মা. আবুল কালাম বলেন, মিঠুন বিয়ে করেননি। তাঁরা তিন ভাই। তাঁদের মা–বাবা কেউ বেঁচে নেই।

গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বড় ভাই বাবুল সাহা স্ত্রীকে নিয়ে নরসিংদীতে এক আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। মেজ ভাই দেবল সাহা নিজের কর্মস্থল কিশোরগঞ্জ ছিলেন। দুই-তিন দিন ধরে মিঠুন বাড়িতে একা থাকতেন।

প্রতিবেশী টিপন সাহা বলেন, ‘মিঠুন গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে শাহগঞ্জ বাজারে আমার সঙ্গে চা-শিঙাড়া খেয়ে বাড়ি চলে যান। আজ সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ানোর পর দেখতে পাই একটি গাছের কাণ্ডে তাঁর লাশ ঝুলে আছে। এ দৃশ্য দেখার পর আমি চিৎকার করে গ্রামের লোকজনকে ডাকি। গ্রামের লোকজন তাঁর ফাঁসিতে ঝুলে থাকার ঘটনাটি নিয়ে সন্দেহ করেন। তাঁদের ধারণা, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জানতে মিঠুনের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘরগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পীরজাদা মোস্তাছিনুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, পুলিশ লাশের সুরতহাল করেছে। তবে ফাঁসিতে ঝুলে থাকা মিঠুনের পা বাঁধা থাকা নিয়ে নানা সন্দেহ দেখা দিচ্ছে। পুলিশ নানা দিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে।