শিশু সাফওয়ান
শিশু সাফওয়ান

ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে শিশু সাফওয়ানের দাফন, হত্যা মামলা দায়ের

ময়নাতদন্ত শেষে শিশু সাফওয়ানের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের মধ্য হোসনাবাদ গ্রামে শিশুটিকে দাফন করা হয়।

সাফওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে তার বাবা ইমরান হোসেন সিকদার বাদী হয়ে গৌরনদী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামে দাদাবাড়িতে বেড়াতে এসে গত বুধবার দুপুরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল সাত বছর বয়সী শিশু সাফওয়ান। ১৬ ঘণ্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পেছনের একটি ডোবার পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটির চোখে ও কানে আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সাফওয়ান সরিকল ইউনিয়নের মধ্য হোসনাবাদ গ্রামের ইমরান হোসেন সিকদারের ছেলে। ইমরান সিকদার ট্রান্সকম গ্রুপের কর্মকর্তা, তিনি ঢাকায় কর্মরত।

সম্প্রতি দাদার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সাফওয়ান।গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শিশুটির চোখ ও কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন আছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পেলে বলা যাচ্ছে না।

ওসি বলেন, এ ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এরই মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সাফওয়ানের বাবা ইমরান হোসেন সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওরা আমার ছেলেটাকে বাঁচতে দিল না। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব। আমি এই হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই, যাতে এতটুকু বাচ্চাকে আর কাউকে এভাবে হারাতে না হয়।’

ইমরান হোসেন অভিযোগ করেন, ‘আসামিরা প্রভাবশালী। তারা এই মামলাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমি এ জন্য প্রশাসনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’