সিলেটের জৈন্তাপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক ইট দিয়ে আঘাত করে তাঁর নানিকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ঘটনাস্থলেই নানির লাশের পাশে শুয়ে ছিলেন তিনি। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাটেরচটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাঁর নাতি সুমন আহমদকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।
আজিবা বেগমের ছোট মেয়ের ছেলে সুমন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। সে কারণে পায়ে শিকল লাগিয়ে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হতো তাঁকে। সুমনের মা-বাবা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। এর পর থেকেই তিনি নানির সঙ্গে থাকতেন।
পুলিশ নিহত নারীর পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানায়, আজিবা বেগমের চার ছেলে ও চার মেয়ে। চার ছেলের একজন মারা গেছেন, বাকি তিনজন আলাদা সংসার করেন। ছোট মেয়ে ও জামাতা কয়েক বছর আগে মারা যাওয়ার পর তাঁদের ছেলে সুমনকে নিজের কাছে রাখেন আজিবা বেগম। প্রায় দুই মাস আগে সুমন মানসিক ভারসাম্য হারালে তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ১৫ দিন আগে তাঁকে বাড়িতে আনা হয়। এর পর থেকে পায়ে শিকল পরিয়ে রাখা হয়েছিল। গতকাল রাতে সুমন নানিকে ইট দিয়ে আঘাত করেন। স্থানীয় এক যুবক রাতে বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আজিবা বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজনকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, নিহত বৃদ্ধার পাশে শুয়ে ছিলেন সুমন। পায়ে শিকল পরা ছিল। পাশে গেলে শিকল খুলে দেওয়ার আকুতি করছিলেন এবং ইট দিয়ে শিকলের তালায় আঘাত করছিলেন। নিহত বৃদ্ধার মাথাসহ শরীর ইটের আঘাতে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় সুমন এ কাজ করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত বৃদ্ধার আরেক নাতি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় সুমনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।