কুষ্টিয়া–৪ আসনে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে বৃহস্পতিবার কুমারখালীর গোলচত্বরে শেখ সাদীর সমর্থকদের মানবন্ধন
কুষ্টিয়া–৪ আসনে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে বৃহস্পতিবার কুমারখালীর গোলচত্বরে শেখ সাদীর সমর্থকদের মানবন্ধন

কুষ্টিয়া ৪

বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে শেখ সাদীর কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বিএনপি মনোনীত সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর মনোনয়ন পরিবর্তন করে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাদীকে প্রার্থী করার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী গোলচত্বর এলাকায় সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সেখানে নারী–পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। তাঁদের হাতে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন ছিল।

মানববন্ধনে কুমারখালী উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম বলেন, দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে মেহেদী আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যিনি দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন না। নেতা-কর্মীদের বিপদে পাশে ছিলেন না। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ায় অখুশি তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। দ্রুত তাঁর মনোনয়ন পরিবর্তন করে শেখ সাদীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হোক।

উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেন, তৃণমূল বিএনপির সব নেতা-কর্মী তারুণ্যের প্রতীক শেখ সাদীর পক্ষে। কাজেই সাদীকে মনোনয়ন দিলে এই আসনে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত হবে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান বলেন, মেহেদীকে পরিবর্তন করে সাদীকে মনোনয়ন না দিলে এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয়ী করা সম্ভব হবে না। শেখ সাদী অনেক বছর আগে থেকেই দুই উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। গ্রামের সাধারণ মানুষ তাঁকে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছেন। এখানে রুমী থাকলে জামায়াতের প্রার্থী জিতে যাবেন। যতক্ষণ মনোনয়ন পরিবর্তন করা না হবে, ততক্ষণ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চলতেই থাকবে।

৩ নভেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন ঘোষণা করে। এতে কুষ্টিয়া-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীকে। মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাদীর সমর্থকেরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছেন।