
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে ২১ কেজি ৬০০ গ্রামের একটি কাতলা মাছ প্রায় ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে মাছটি নিলামে বিক্রি হয়। এর আগে আজ ভোরের দিকে পদ্মা নদীর মোহনায় জালে এটি ধরা পড়ে।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, আজ ভোরের দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের অদূরে পদ্মা নদীর মোহনায় জেলেরা জাল ফেলেন। অন্য জেলেদের সঙ্গে জেলে রবিন হালদারও ছিলেন। কিছুক্ষণ পরে জালে ঝাঁকি দিলে রবিন বুঝতে পারেন বড় কিছু একটা আটকা পড়েছে। জাল টেনে নৌকায় তুলেই দেখতে পান বড় এক কাতলা মাছ। তিনি মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন দৌলতদিয়া ফেরিঘাট বাজারের রওশন মোল্লার আড়তে। ওজন দিয়ে দেখেন প্রায় ২১ কেজি ৬০০ গ্রাম হয়েছে। এত বড় কাতলা মাছ এ মৌসুমে তেমন ধরা পড়েনি। বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা কেনেন।
দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, সকালে বাজারের রওশন মোল্লার আড়তে বড় এক কাতলা মাছ দেখে নিলামে শরিক হন। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তিনি ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে ৩৮ হাজার ৮৮০ টাকায় কাতলাটি কেনেন। এটি তিনি আড়তঘর–সংলগ্ন ফেরিঘাটের পন্টুনে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। বিভিন্ন পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে ঢাকার উত্তরা এলাকার এক ব্যবসায়ী মাছটি দেখে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কেজিপ্রতি ৫০ টাকা করে লাভে ১ হাজার ৮৫০ টাকা কেজি দরে ৩৯ হাজার ৯৬০ টাকায় কাতলাটি বিক্রি করেন। তাঁর দেওয়া ঠিকানায় আজ দুপুরে মাছটি ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।
চান্দু মোল্লা বলেন, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঝেমধ্যে বড় পাঙাশ, রুই, কাতলা, ইলিশ ও বাগাড় ধরা পড়ছে। তবে এ মৌসুমে এত বড় কাতলা মাছ তেমন একটা ধরা পড়েনি। তিনি এত বড় কাতলা এ মৌসুমে প্রথম কিনেছেন। সাধারণত বড় মাছ বিক্রি করা কঠিন হয়ে পড়ে। স্থানীয়ভাবে কেটে ভাগ দিয়ে বিক্রি করতে হয়। অথবা অন্য বড় কোনো ব্যবসায়ী বা প্রবাসীরা কিনে থাকেন।