মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে বিএনপির দুই পক্ষের বিরোধের জেরে গুলিতে আহত এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় দুই তরুণ মারা গেছেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত তরুণের নাম রায়হান খান (২২)। তিনি উপজেলার চরডুমুরিয়া খানবাড়ির রুস্তম খানের ছেলে। এর আগে গতকাল সোমবার ভোরে বিএনপির এক পক্ষের হামলায় রায়হানের পাশাপাশি আরিফ মীর (৪০) ও ইমরান খান (২২) গুলিবিদ্ধ হন। ওই সময় ঘটনাস্থলেই আরিফের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় রায়হান ও ইমরানকে রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হয়।
রায়হানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, রায়হান মুন্সিগঞ্জ থেকে গতকাল চিকিৎসা না নিয়ে সরাসরি ঢাকায় চলে যান। গতকাল হতাহতের ওই ঘটনায় আজ বিকেল পর্যন্ত কোনো মামলা বা অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে বিবদমান দুটি পক্ষের একটির নেতৃত্বে আছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদ রায়হান ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আতিক মল্লিক। অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উজির আহমেদ ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আওলাদ হোসেন। নতুন করে নিহত রায়হান উজির-আওলাদের পক্ষের সমর্থক ছিলেন।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও রায়হানের প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোরে ওয়াহিদ রায়হান, আতিক মল্লিক ও রহিম মোল্লাদের সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ, জাহাঙ্গীর, শাহ কামাল, শাহ আলম, শাকিল, হোসেন মিয়া ও জিন্নত মীরদের একটি দল দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে চরডুমুরিয়া এলাকায় অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আরিফ মীর। রায়হান ও ইমরান গুরুতর আহত হন।
মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে বসবাসকারী সেই দলের নেতারা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি দলে বিভক্ত হন। সেই সঙ্গে সমর্থকদের নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। আওয়ামী লীগের আমলে পক্ষ দুটির নেতৃত্ব দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। তখন বিএনপির সমর্থকেরা ওই দুই পক্ষে ভাগ হয়ে সংঘর্ষে জড়াতেন।