Thank you for trying Sticky AMP!!

পটুয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ডেপুটি রেজিস্ট্রারের ফাঁস হওয়া ‘আপত্তিকর ফোনালাপ’ নিয়ে সমালোচনা

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক নারী সহকর্মীকে পদোন্নতি ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ–সংক্রান্ত একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

ওই কর্মকর্তার নাম মিজানুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখায় ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত। তিনি ফোনালাপটি সম্পাদনা করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

১২ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ওই ফোনালাপে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, তাঁর প্রস্তাবে রাজি হলে তিনি ওই নারী সহকর্মীকে প্রথমে সেকশন অফিসার এবং পরে আরও উচ্চপদে প্রমোশনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেবেন। ওই নারী বারবার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বিভিন্নভাবে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে নিজের ক্ষমতার কথাও বলেন।

ফোনালাপে আরও বলতে শোনা যায়, তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় ক্যাডার লাইনে রাজনীতি করেছেন। একমাত্র তাঁর সঙ্গে নাইন এমএম (পিস্তল) থাকত। এ ছাড়া পবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দুবার ছিলেন। তদবির করে অন্য কর্মকর্তা বদলির উদাহরণও দেন তিনি।

ফোনালাপে অনৈতিক প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাকে জড়িয়ে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ঘটনাটি পুরো ষড়য়ন্ত্রমূলক। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মকর্তা ফোনালাপ এডিট (সম্পাদনা) করে আমাকে জড়িয়ে ছড়িয়ে দিয়েছে।’ ওই দুই কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত দাবি করে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান মিজানুর রহমান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও প্রক্টর সন্তোষ কুমার বসু প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসলে বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’