লালমনিরহাট সদর উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের বড়বাড়ীহাট শাখায় সুড়ঙ্গ খুঁড়ে চুরির চেষ্টার ঘটনায় মো. রতন (৩২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে বড়বাড়ীহাট বাজার এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে চুরির চেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার রতন বগুড়া সদর উপজেলার মো. বাদল ব্যাপারীর ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে বগুড়া, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় চুরি, ডাকাতি, অপহরণসহ ১৯টি মামলা আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ নুর নবী বলেন, গ্রেপ্তার রতনকে বড়বাড়ীহাট এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করা হয়। তাঁর নাম-পরিচয় সংগ্রহ করে পুলিশের অপরাধ ডেটাবেজে অনুসন্ধান করলে তাঁর বিরুদ্ধে ১৯টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। বড়বাড়ীহাট এলাকায় সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি করার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত ৪ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত সোমবার সোনালী ব্যাংকের বড়বাড়ীহাট শাখায় ছয় ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ে চুরির চেষ্টার ঘটনা ঘটে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরীদের গর্ত খোঁড়ার বিষয়টি নজরে আসে। এ ঘটনায় ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. রাজু মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের কুড়িগ্রামের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শাহিন আক্তার ভূঁইয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সোমবার রাতে ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরীর মাধ্যমে খবর পেয়ে কর্মকর্তারা ব্যাংকের ভবনের পেছনের দেয়াল ভাঙা এবং আনুমানিক ছয় ফুট গভীর একটি সুড়ঙ্গ খোঁড়া দেখতে পান। পরে কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে ব্যাংকে ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ও রক্ষিত টাকা অক্ষত দেখতে পান। শুধু ভান্ডারকক্ষের কাগজপত্র এলোমেলো পাওয়া যায়। ভেতরে সন্দেহভাজন কাউকে পাওয়া যায়নি। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা ৪০ মিনিটের মধ্যে ব্যাংকের ভবনের পেছনের দেয়াল ভেঙে মেঝেতে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে চুরির চেষ্টা করেছে।