
‘সন্তান সাফল্য অর্জন করেছে বলে আজ আমি এখানে এসেছি। সন্তান শিক্ষা-দীক্ষায় প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠুক, একজন মা–বাবা এটা সারা জীবন চান। সন্তানের জীবনের এটিই একমাত্র সাফল্য নয়। দেশ ও সমাজের জন্য তাকে প্রস্তুত হতে হবে। তার এ সংগ্রামে সারা জীবন পাশে থেকে শক্তি জোগাব।’
আজ শনিবার শরীয়তপুরে শিখো-প্রথম আলো আয়োজিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এক শিক্ষার্থীর বাবা লুৎফর রহমান নিজের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন।
‘স্বপ্ন দেখো জীবন গড়ো’ স্লোগানে প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শিখোর পৃষ্ঠপোষকতায় শরীয়তপুর পৌরসভা মিলনায়তনে আজ শনিবার এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জেলার ছয়টি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১৬৪ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তারা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হতে শুরু করে। তাদের সঙ্গে অভিভাবকদের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরাও উপস্থিত হন। পরে প্রথম আলো বন্ধুসভার শরীয়তপুরের সদস্যরা শিক্ষার্থীদের হাতে স্ন্যাকস ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর শরীয়তপুর প্রতিনিধি সত্যজিৎ ঘোষ। আরও বক্তব্য দেন শরীয়তপুর সরকারি গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াজেদ কামাল, নড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাকসুদা খানম ও প্রথম আলোর খুলনার নিজস্ব প্রতিবেদক উত্তম মন্ডল। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেয় ভেদরগঞ্জের সাজনপুর ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী রাইসা ইসলাম। মাদক, মিথ্যা ও মুখস্থকে না বলুন শপথ পাঠ করান শরীয়তপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক শাহিন সরকার।
ওয়াজেদ কামাল বলেন, ‘তোমরাই আগামীর বাংলাদেশকে পথ দেখাবে, তাই সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। তোমাদের সংবর্ধিত করার জন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ।’
মাকসুদা খানম বলেন, ‘তোমাদের মনে রাখতে হবে, তুমি ভালো ফলাফল করে প্রশংসা পাচ্ছ। কিন্তু তুমি ব্যক্তি জীবনে ভালো কাজ করতে পারলা না। তাহলে তোমার এ সাফল্য কোনো কাজে আসবে না। তোমাকে ভালো মানুষ হতে হবে।’
সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানে জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বন্ধুসভার সদস্যরা নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে পূরবী দাস ও অরিত্র সংগীত পরিবেশন করে।
ভেদরগঞ্জের সাজনপুর ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী রাইসা ইসলাম বলে, ‘এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে জীবনের প্রথম ধাপে সাফল্যের স্বাদ পেয়েছি। তবে এটাই জীবনের সাফল্য মনে করছি না। এটি জীবনের অন্যান্য ধাপে অগ্রগামী হওয়ার অনুপ্রেরণা। এ অনুপ্রেরণাই আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।’
আয়োজনটি পাওয়ার্ড বাই কনকা-গ্রি এবং সহযোগিতায় থাকছে কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, কোয়ালিটি গ্রুপ, আকিজ টেলিকম লিমিটেড, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, আম্বার আইটি লিমিটেড, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।