
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ(চাকসু) ও হল সংসদে নির্বাচিত পাহাড়ি ছাত্রনেতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, আপনারা পাহাড়িদের নেতা নন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর নেতা। যদি ভাবেন, শুধু পাহাড়িদের ভোট পেয়েছেন, তাহলে এটা ভুল হবে। আপনারা সব শিক্ষার্থীর ভোট পেয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হলো মিনি বাংলাদেশ।’
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে এই সংবর্ধনা সভার আ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে নবীনদের বরণ ও পাস করে যাওয়া শিক্ষার্থীদেরও বিদায় জানানো হয়।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় আইন অনুষদের এ কে খান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
অনুষ্ঠানে অতীশ দীপঙ্কর হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) রিপুল চাকমা বলেন, ‘এই পথ আমার জন্য সহজ ছিল না। এক ভোটের ব্যবধানে আমি নির্বাচিত হয়েছি। একটি ভোট কত গুরুত্বপূর্ণ, তা এখন নিশ্চয় সবাই বুঝেছেন। সামনে যেকোনো নির্বাচনে নিজেদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবেন।’
ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনমুন নেছা বলেন, ‘রাষ্ট্র ছোট হলেও বৈষম্য বড়। পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের সংগ্রাম মহাকাব্যের মতো। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা ছাড়া সবই হয়। দক্ষতা, বিজ্ঞান ও দর্শনের চর্চা বাড়াতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন ও প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, পিসিপির সাবেক-বর্তমান নেতৃত্ব ও নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি ভুবন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমাও বক্তব্য দেন। শুরু থেকে অডিটোরিয়াম ছিল নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে মুখর। অনুষ্ঠান শেষে নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।