নির্বাচন কমিশনের আসন কমানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বাগেরহাটের রাজনৈতিক দলগুলোর সংবাদ সম্মেলন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে
নির্বাচন কমিশনের আসন কমানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বাগেরহাটের রাজনৈতিক দলগুলোর সংবাদ সম্মেলন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে

বাগেরহাটে সংসদীয় আসন কমানোর প্রস্তাবের প্রতিবাদে সর্বদলীয় কর্মসূচি ঘোষণা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট থেকে একটি আসন কমাতে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবের খসড়া প্রকাশের পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে দুই দিনের সর্বদলীয় কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে আজ জেলা বিএনপির আহ্বায়কের কার্যালয়ে সর্বদলীয় সভা করে নির্বাচন কমিশনের আসন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়।

কর্মসূচিগুলো হলো আগামী শনিবার বেলা ১১টায় শহরের দশানী ট্রাফিক মোড় থেকে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের ভিআইপি মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ ও সমাবেশ এবং পরদিন রোববার একই সময়ে কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান।

প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন বলেন, ‘বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি বাদ দিয়ে তিনটি করার প্রস্তাবনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ইসির এমন সিদ্ধান্ত জানার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সর্বদলীয় সভা করে আগামী দুই দিন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, সদস্যসচিব মোজাফফর রহমান আলম, জামায়াত ইসলামীর জেলা আমির মাওলানা রেজাউল করিম, সেক্রেটারি জেনারেল ইউনুস আলী প্রমুখ।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী এ সংখ্যা কমে হবে তিনটি। সীমানা নির্ধারণে গঠিত বিশেষায়িত কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন ও নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনের পর গতকাল বুধবার প্রস্তাবের বিষয়টি জানানো হয়। এ খবর প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানাভাবে প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেন জেলার বাসিন্দারা। রাতেই শহরে বিক্ষোভ করে বিএনপির একাংশ। এ ছাড়া আজ সকাল থেকেই বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।