
সুনামগঞ্জ-১ আসনে (ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর) বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন ফরম তোলার চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কামরুজ্জামান কামরুল।
এই আসনে বিএনপি প্রথমে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দলের জেলা কমিটির সাবেক সহসভাপতি ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হকের নাম ঘোষণা করে।
আনিসুল হককে প্রার্থী ঘোষণার পর প্রার্থী পরিবর্তন এবং কামরুলকে প্রার্থী করার জন্য তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। সর্বশেষ গতকাল রোববার বিকেলে একইভাবে নির্বাচনী এলাকার উজান তাহিরপুর গ্রামে কামরুলের সমর্থকেরা সমাবেশ করেন। সেখানে কামরুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আজ সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল গতকাল রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশে শেষে তাহিরপুর থেকে জেলা সদরে ফেরার পথে কেন্দ্র থেকে তাঁকে ফোন দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সম্পর্কে চাওয়া হয়। তিনি সেটি দেওয়ার পর একজন প্রতিনিধি পাঠিয়ে দলীয় মনোনয়নের চিঠি সংগ্রহ করার কথা জানানো হয়। কামরুল বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে, এখানে আমিই দলীয় প্রার্থী। সবাইকে নিয়ে যেন নির্বাচন করি।’
সুনামগঞ্জ-১ আসন ছাড়াও গতকাল রাতে জেলার আরেকটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আরেকজন কেন্দ্র থেকে চিঠি পেয়েছেন। তিনি হলেন সুনামগঞ্জ-২ আসনে (দিরাই ও শাল্লা) তাহির রায়হান চৌধুরী (পাভেল)। তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক। দল দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ ডিসেম্বর এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে সাবেক সংসদ সদস্য দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাছির চৌধুরীকে। গতকাল দুপুরে নাছির চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ে তাঁর সঙ্গে তাহির রায়হান চৌধুরীও ছিলেন।
কিন্তু সন্ধ্যায় তাহির রায়হান চৌধুরী নিজে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলে এলাকায় আলোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জানতে তাহির রায়হান চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ এবং দল থেকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। তাহির রায়হান প্রথম আলোকে বলেন,‘আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম। মাঠে কাজ করেছি। কিন্তু আমাকে মনোনয়ন না দিলেও আমি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাইনি। এখন দল থেকে আমাকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি, কাল (সোমবার) জমা দেব।’
নাছির চৌধুরী এই আসনে পাঁচবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবং নির্বাচনী এলাকার দিরাই উপজেলায় দুইবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তিনি ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে পরাজিত করে এই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।