এতগুলো টাকা পেয়ে অবাক হই, প্রতারণার সন্দেহও হয়

পারভেজ: ভালো।

পারভেজ: শুরুতে ভাবছিলাম, টাকাগুলো কোথা থেকে এল। আমি একটু অবাক হয়েছিলাম। পরে মনে হলো, এই টাকা কীভাবে ফেরত দেব। আবার সন্দেহ হলো, কেউ প্রতারণা করছে কি না। এখন তো প্রতারণার অনেক ঘটনা ঘটে।

পারভেজ: আমার বড় বোনকে জানিয়েছিলাম।

পারভেজ: পরদিন সকালে। তার আগে আমি যে নম্বর থেকে টাকা এসেছে, সেই নম্বরে কয়েক দফা ফোন করেছি। কেউ ধরেনি। ফোন আসার পর আমি তাদের কাছে প্রমাণ চাই।

পারভেজ: আমি বিকাশ এজেন্টকে বলেছি প্রকৃত প্রাপককে আমার নম্বরে ফোন করতে। এভাবে প্রকৃত মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।

পারভেজ: শুধু একটি অঙ্ক ভিন্ন। বাকিটা এক।

পারভেজ: হ্যাঁ।

পারভেজ: আমি তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম তিনি টাকা নগদে নেবেন, নাকি বিকাশে দেব।

পারভেজ: উনি নগদ চাইলেন। বললেন এজেন্টের কাছে গিয়ে উঠিয়ে দিতে।

পারভেজ: তিনি বলেছিলেন, এই যুগে ২০ টাকা ভুলে পাঠালে কেউ ফেরত দিতে চায় না। আমি এক লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি। উনি ওনার বাড়িতে আমাকে দাওয়াত দিয়েছেন।

পারভেজ: করেছি। তবে যেতে পারিনি। পরে যাব, পরীক্ষা শেষ হলে।

পারভেজ: কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগে (স্নাতক) চতুর্থ বর্ষে। আমাদের বাড়ি পাকুন্দিয়ায়।

পারভেজ: মা, চার বোন ও দুই ভাই। বাবা বেঁচে নেই।

পারভেজ: আমি টিউশনি করি। মাসে চার-পাঁচ হাজার টাকা আয় হয়। নিজের খরচের পাশাপাশি পরিবারে দিই। আমার টিউশনি ও বাবার পেনশনের (অবসর ভাতা) যে টাকা মা পান, তা দিয়ে সংসার চলে।

পারভেজ: প্রতিবেদন দেখেছি। কমেন্টও (মন্তব্য) পড়েছি। খুব ভালো লাগছে। সারা দিনই ফোন এসেছে। সবাই প্রশংসা করেছে।

পারভেজ: দুই বছর আগে ১০ হাজার টাকা এসেছিল। সেটা ফেরত দিয়েছি।

পারভেজ: মায়ের চিকিৎসা করাব। তাঁর হৃদ্‌রোগের ভালো চিকিৎসা দরকার।