শাকসু নির্বাচন

‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে চার শিক্ষকের পদত্যাগ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
 ফাইল ছবি

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচন কমিশন থেকে চারজন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার উপাচার্য বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তাঁরা। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাত সদস্যের কমিটি গঠনের কথা থাকলেও ১৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২৭ অক্টোবর এ কমিটি ঘোষণা করেন উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী।

শাকসু নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করা শিক্ষকেরা হলেন খাদ্য প্রকৌশল ও চা প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক জি এম রবিউল ইসলাম, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফ সদ্দিকী, গণিতের অধ্যাপক রেজোয়ান আহমেদ ও নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনযুর-উল-হায়দার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, ‘শিক্ষকদের পক্ষ থেকে চিঠি পেয়েছি। তবে উপাচার্য মহোদয় এখনো দেখেননি।’

শাকসুর পুনঃপ্রণয়নকৃত গঠনতন্ত্রের ধারা-৬–এর উপধারা ‘ক’তে বলা হয়েছে, নির্বাচনের লক্ষ্যে সংসদ সভাপতি (উপাচার্য) নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ ও ঘোষণা করবেন। তিনি নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করবেন। কমিটিতে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

শাকসু নির্বাচনের জন্য কমিশন গঠনে সংখ্যার বিষয়টি মানা হয়নি। সেই সঙ্গে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব সংসদ সভাপতির (উপাচার্য) থাকলেও তিনি এখনো তা করেননি। এ বিষয়ে উপাচার্যের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সহ-উপাচার্য মো. সাজেদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারের সর্বোচ্চ সংখ্যার বিষয়ে উপাচার্য একটি সংশোধনী দিয়েছেন। সাত সদস্যের বদলে সেখানে ১৩ সদস্য হবে। আগামী সিন্ডিকেটে সেটা ওঠানো হবে।’

এর মধ্যে শাকসু নির্বাচন কমিশন গঠনের পাঁচ দিনের মাথায় ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগ করছেন জানিয়ে উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছেন চার নির্বাচন কমিশনার।

পদত্যাগ করা নির্বাচন কমিশনার রেজোয়ান আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘উপাচার্যকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি, আমরা কাজ করতে চাই না। রেজিস্ট্রারের কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি।’

তবে নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগের বিষয়টি জানেন না উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ বলেন, ‘এই সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ প্রকাশের চেষ্টা করছি।’