Thank you for trying Sticky AMP!!

চোর সন্দেহে স্কুলছাত্রের পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্র বর্তমানে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন

মাগুরার শালিখা উপজেলায় চোর সন্দেহে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর (১২) পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে ও হাতুড়িপেটা করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হাসানকে আটক করেছে শালিখা থানা-পুলিশ।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা জানান, গতকাল জুমার নামাজ পড়তে ছান্দড়া গ্রামের একটি মসজিদে যায় ওই শিক্ষার্থী। এ সময় ওই গ্রামের মুদিদোকানদার হাসান তাকে আটক করে দোকানের মধ্যে নিয়ে চোর সন্দেহে নির্যাতন করেন। তাঁরা তাকে একটি ঘরে আটকে পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে ও হাতুড়িপেটা করে নির্যাতন করেন। পরে থানা-পুলিশের সহায়তায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা জামান প্রথম আলোকে বলেন, আহত ওই শিক্ষার্থীর পায়ে ও শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর চাচা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক দিন আগে ছান্দড়া চৌরাস্তার পাশে একটি দোকানে চুরি হয়। ওই ঘটনায় চোর সন্দেহে তাঁর ভাতিজাকে আটক করে পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে ও হাতুড়িপেটা করে নির্যাতন করেন মুদিদোকানি হাসান। নির্যাতনের মাধ্যমে জোর করে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মুদিদোকানি হাসানকে আটক করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বিশারুল ইসলাম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, চুরি সন্দেহে এক স্কুলছাত্রকে নির্যাতন করা হচ্ছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে শালিখা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দোকানি হাসানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ না পেলে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।