ময়মনসিংহের তারাকান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে মসজিদে ঢুকে যায় একটি যাত্রীবাহী বাস। এ ঘটনায় বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাবা-ছেলে। আজ সকালে ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের তালদীঘি এলাকায়
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে মসজিদে ঢুকে যায় একটি যাত্রীবাহী বাস। এ ঘটনায় বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাবা-ছেলে। আজ সকালে ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের তালদীঘি এলাকায়

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস ঢুকে গেল মসজিদে, ঘটনাস্থলেই বাবা-ছেলে নিহত

পরিবার নিয়ে ঈদ উদ্‌যাপন করতে বাসে নানাশ্বশুরবাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে যাচ্ছিলেন পারভেজ মিয়া (৪০)। সড়কের পাশের একটি মসজিদে ঢুকে যায় চলন্ত বাসটি। এ ঘটনায় পারভেজ ও তাঁর ৮ বছর বয়সী ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।

আজ সকাল ৭টার দিকে তারাকান্দা উপজেলার ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের তালদীঘি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পারভেজ মিয়া নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ঈদের ছুটিতে সপরিবার হালুয়াঘাটে নানাশ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন।

দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে যাচ্ছিল তিশা পরিবহনের বাসটি। এটি ঢাকা-কুমিল্লা সড়কে চলাচল করলেও ঈদ উপলক্ষে হালুয়াঘাটে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। স্ত্রী-সন্তান ও শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে হালুয়াঘাটে নানাশ্বশুরবাড়িতে ঈদ উদ্‌যাপন করতে যাচ্ছিলেন পারভেজ। সকাল ৭টার দিকে তারাকান্দা উপজেলার পশ্চিম তালদীঘি এলাকায় পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ফকিরবাড়ি মসজিদে ঢুকে যায়। এ ঘটনায় বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসটির সামনের দিকে ছিলেন পারভেজ ও তাঁর ছেলে। তাঁরা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

যাত্রীবাহী বাসটির চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তারাকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন চন্দ্র পাল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘যাত্রীবাহী বাসটির চালক হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি মসজিদের ভেতরে ঢুকে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।’

পুলিশ জানায়, লাশ দুটি উদ্ধারের পর তারাকান্দা থানায় নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাসটিও জব্দ করা হয়েছে। তবে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে গেছেন।