শেরপুর

জাতীয় পতাকার আদলে সবজিখেত তৈরি

শেরপুরে জাতীয় পতাকার আদলে লালশাক ও পালংশাক দিয়ে তৈরি করা সবজিখেত। গতকাল শেরপুর কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের ফসলি জমিতে
ছবি: প্রথম আলো

জাতীয় পতাকার আদলে সবজিখেত তৈরি করেছেন শেরপুর কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের (এডিআই) শিক্ষার্থীরা। শহরের নারায়ণপুরের এডিআইয়ের ফসলি জমিতে তৈরি করা এ সবজিখেত দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।

শেরপুর কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, ‘দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি রবি মৌসুমে ইনস্টিটিউটের সাড়ে ১৫ একর জমিতে শর্ষে ও এক একর (১০০ শতক) জমিতে লালশাক, পালংশাক, টমেটো, বেগুনসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করা হয়। এর মধ্যে প্রায় দুই শতক জমিতে লালশাক ও পালংশাক আবাদ করা হয়েছে।

ওই জমিতে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের সহযোগিতায় ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা মাঠে সবুজ রঙের পালংশাক ও লালশাকের চারা দিয়ে জাতীয় পতাকার চিত্রকল্প তৈরি করে চমক সৃষ্টি করেছেন। এ সবজিখেত দেখতে ভিড় করছেন আশপাশের লোকজন।

এডিআইয়ের শিক্ষার্থী প্রতীক রহমান বলেন, ‘আমরা আমাদের স্যারদের নির্দেশনায় সবজি দিয়ে এ পতাকা তৈরি করেছি। আমরা এর মাধ্যমে জাতীয় পতাকা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন দেখতে আসছেন, আমাদের প্রশংসা করছেন। এতে খুব ভালো লাগছে।’

এডিআইয়ের প্রধান প্রশিক্ষক মো. আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় পতাকার আদলে তৈরি এই খেত থেকে কোনো সবজি তোলা হবে না। এটি সাধারণ মানুষের প্রদর্শনের জন্য রেখে দেওয়া হবে। পরে এখান থেকে লাল ও পালংশাকের বীজ সংগ্রহ করা হবে।

এডিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইফুল আজম খান বলেন, তাঁদের ছাত্র ও শিক্ষকেরা মিলে মহান বিজয়ের মাস উপলক্ষে সবজি দিয়ে পতাকা তৈরি করেছেন। পতাকার মাঝখানে লালশাকের বৃত্ত দিয়ে বোঝানো হয়েছে লাখো শহীদের রক্ত এবং সবুজ পালংশাক দিয়ে বোঝানো হয়েছে দেশের প্রকৃতিকে।