Thank you for trying Sticky AMP!!

নারায়ণগঞ্জে সংঘর্ষে রাইফেল হাতে ছবিটি ডিবির এসআই মাহফুজের

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে শোভাযাত্রা শুরুর আগে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় রাইফেল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায় ডিবির এসআই মাহফুজুর রহমানকে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায়

নারায়ণগঞ্জে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ–বিএনপি সংঘর্ষের সময় রাইফেল দিয়ে একজনকে গুলি করতে দেখা যায়। পরদিন প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে রাইফেল ব্যবহারের ছবিও ছাপা হয়। এমনকি রাইফেল দিয়ে গুলি চালানো হচ্ছে—এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নারায়ণগঞ্জ পুলিশের একাধিক সদস্য নিশ্চিত করেছেন, রাইফেল দিয়ে গুলি করতে দেখা যাওয়া ব্যক্তি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান।

এদিকে শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সমাবেশে নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওন প্রধানকে গুলি করার জন্য এসআই মাহফুজুর রহমানকে (কনক) দায়ী করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এই এসআই কনকের চায়নিজ রাইফেল রাখার কোনো এখতিয়ার ছিল না। তাহলে এই চায়নিজ রাইফেলটা এল কোত্থেকে। কোন আদেশবলে সে গুলি করে হত্যা করল আমার ভাইকে।’

Also Read: দেড় ঘণ্টার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২৬, নিহত একজন

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল এবং সঙ্গে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দুটি দলও মোতায়েন ছিল। গণমাধ্যমে যে ছবিগুলো আসছে, সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আদৌ চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি হয়েছে কি না, এগুলো তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। একই সঙ্গে যিনি মারা গেছেন, তাঁর শরীরে আদৌ সেই অস্ত্রের গুলি লেগেছে কি না, ময়নাতদন্তে প্রতিবেদন পাওয়া গেলে জানা যাবে।

এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু বলেন, পুলিশ যখন চূড়ান্তভাবে আক্রান্ত হয়, তখন জীবন রক্ষার্থে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Also Read: এই চায়নিজ রাইফেলটা এল কোত্থেকে: মির্জা ফখরুল

গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু ছাড়াও পথচারী-নারীসহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ২৬ জন। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটায় আহত হয়েছেন পুলিশের সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ। এ সময় ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকা ও ২ নম্বর রেলগেট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।