
সুনামগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে রিপা বেগম (৩২) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে তাঁর স্বামী আবদুল হামিদ ওরফে মিল্টনকে (৪২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন এই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল হামিদ সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী রিপা বেগম বাউলশিল্পী ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৯ বছর আগে আবদুল হামিদের সঙ্গে সদর উপজেলার মইনপুর গ্রামের মদরিছ আলমের মেয়ে রিপা বেগমের বিয়ে হয়। এই দম্পতি তাঁদের দুই মেয়েকে নিয়ে মইনপুর গ্রামেই বসবাস করতেন। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হতো। আবদুল হামিদ প্রায়ই রিপা বেগমকে মারধর করতেন। ঘটনার ১৫ দিন আগে আবদুল হামিদের সঙ্গে ঝগড়া করে রিপা সন্তানদের নিয়ে শহরের তেঘরিয়া এলাকায় এসে একটি বাসা ভাড়া নেন। এর আগে তিনি স্বামীকে তালাক দেন।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, গত বছরের ৬ মার্চ দুপুরে আবদুল হামিদ ওই বাসায় এসে দরজা লাগিয়ে দেন। ঘরে হামিদ আর রিপাই ছিলেন। একপর্যায়ে রিপার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে হামিদ দরজা খুলে পালিয়ে যান। এ সময় ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় রিপা পড়ে ছিলেন। তাঁর মাথায় দায়ের একাধিক কোপ ছিল। এরপর তাঁকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরে রিপার বাবা মদরিছ আলম বাদী হয়ে আবদুল হামিদসহ দুজনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ আদালতে আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার বিচারকাজ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খায়রুল কবির।