খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী আবাসিক প্রকৌশলী চঞ্চল মিয়াকে ধাওয়া করছেন
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী আবাসিক প্রকৌশলী চঞ্চল মিয়াকে ধাওয়া করছেন

বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা প্রকৌশলীকে মারধরের পর তুলে দিলেন সেনাবাহিনীর হাতে

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় বাড়তি বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা সহকারী আবাসিক প্রকৌশলী চঞ্চল মিয়াকে মারধরের পর সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছেন। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের মিটার রিডিংয়ের চেয়ে অতিরিক্ত বিল দেওয়া হচ্ছিল।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার টিঅ্যান্ডটি এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের কার্যালয় ঘেরাও করেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে সাধারণ গ্রাহকেরা বারবার অভিযোগ জানিয়ে কোনো সমাধান পাননি। একপর্যায়ে সহকারী প্রকৌশলী চঞ্চল মিয়ার সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয় জনতার। এরপর তাঁকে মারধর করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন গ্রাহকেরা।

বাড়তি বিদ্যুৎ বিল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ উপজেলার গ্রাহকেরা। তাঁদের অভিযোগ, অবৈধ সংযোগ দিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন। আর সাধারণ গ্রাহকদের মিটার রিডিংয়ের অতিরিক্ত বিল ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বারবার অভিযোগ করলেও সমস্যা সমাধানে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

কলোনিপাড়া এলাকার আরমান হোসেন বলেন, ‘আমার বাসায় গত মাসে বিল এসেছে ২ হাজার ১০০ টাকা। আর এ মাসে বিল দিয়েছি ৪ হাজার ১০০ টাকা। অথচ বাড়িতে একটি টেলিভিশন, তিনটি বাতি আর একটি ফ্যান চলে।’

কলাবাগান এলাকার সুমন ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা দুই মাস ধরে পানছড়ির বাইরে আছি। ঘরে একটিও বাতি জ্বলে না। তারপরও মাস শেষে বিল এসেছে ৭০০ টাকা।’

গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রকৌশলী চঞ্চল মিয়া বলেন, ‘দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অবৈধ বিদ্যুৎ–সংযোগ থাকার কারণে কিছু গ্রাহকের বিল অতিরিক্ত আসে। তবে গ্রাহকদের সমস্যার দ্রুত সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।’

পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেছে। পরে গ্রাহকদের অভিযোগ শুনে লিখিত অভিযোগ জমা দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সহকারী প্রকৌশলী চঞ্চল মিয়া বর্তমানে সাব–জোনের হেফাজতে রয়েছেন।