তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণজমায়েত। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে
তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণজমায়েত। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ‘তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন’

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণজমায়েত ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে ‘তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন’-এর অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

কর্মসূচিতে বক্তারা শুষ্ক মৌসুমে পানি না দেওয়া, বর্ষা মৌসুমে বাঁধ খুলে দিয়ে বন্যা সৃষ্টি এবং পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে না দেওয়ার জন্য ভারতের সমালোচনা করেন। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে বাঁধ নির্মাণ ও ভারতের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিলের দাবি জানান তাঁরা।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ব্যান্ড দল প্রতিবাদী গান পরিবেশন করে। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি শেখ নূর উদ্দীন আবীর বলেন, ‘মনে রাখবেন, এই বাংলাদেশ কিন্তু আর হাসিনার নাই। এই বাংলাদেশ এখন জেন-জির বাংলাদেশ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলি, আপনারা যদি আমাদের ন্যায্য হিসাব বুঝে না দেন, আপনারা কিন্তু সাবধানে থাকবেন।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, ‘যখন তারা (ভারত) দেখেছে, কৃষিতে আঘাত হানতে পারলে বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, ঠিক সেই জায়গা থেকে তারা উত্তরবঙ্গকে পানিশূন্য করার জন্য তিস্তা বাঁধ বিনির্মাণ করে। শুষ্ক মৌসুমে আমরা পানি পাই না, কিন্তু বর্ষা মৌসুমে সেই পানিতেই আমার কৃষির ক্ষতি হয়। সবাই সেই পানিতে ভেসে যায়। এই অবস্থা আর নয়। অতি শিগগিরই বাংলাদেশকে ভারতের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল করতে হবে।’

স্বপ্না আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ভারতকে শুধু দিয়েই গেছেন। দিয়ে গেছেন শুধু গুম, খুন, হত্যার পরে যেন তিনি সেখানে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারেন—এই আশায়। আমরা আমাদের পানির যোগ্য হিসাব চাই। দাবি মোদের একটাই, তিস্তা নদীর ন্যায্য হিসাব চাই।’