Thank you for trying Sticky AMP!!

পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্য নিয়ে পায়ে হেঁটে সৌদি আরবের পথে রওনা হয়ে এখন ইরান পৌঁছেছেন টেকনাফের মোহাম্মদ জামিল

হজ করতে হেঁটে সৌদি রওনা হওয়া টেকনাফের জামিল এখন ইরানে

পবিত্র হজ পালন করতে হেঁটে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হওয়া কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়াপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ জামিল (৪৮) এখন ইরানে পৌঁছেছেন। টেকনাফ আইডিয়াল পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামিল ১৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে সাতটায় টেকনাফের জিরো পয়েন্ট থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে হেঁটে রওনা দেন।

টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এহতেশামুল হক বলেন, জামিলের হজযাত্রার জন্য পৌরসভা থেকে তাঁর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর সকালে টেকনাফ জিরো পয়েন্ট অলিয়াবাদ জামে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের পর মা-বাবার কবর জিয়ারত শেষে জামিল রওনা হয়েছিলেন। এ নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর প্রথম আলোর অনলাইনে ‘হজ পালন করতে পায়ে হেঁটে সৌদি আরব রওনা হলেন টেকনাফের জামিল’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।’

হেঁটে হজে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোহাম্মদ জামিল সে সময় প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল হেঁটে সৌদি আরব যাব। এই জন্য কয়েক বছর ধরে দৈনিক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১৫-২০ কিলোমিটার হাঁটাহাঁটি করেছিলাম।’

হোয়াটসঅ্যাপে ইরান থেকে মোহাম্মদ জামিল প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ভারত থেকে পাকিস্তান, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত হয়ে সৌদি আরবে যাবেন। সে লক্ষ্যে এখন ইরান পৌঁছেছেন। তাঁকে পুরো পথ পাড়ি দিতে প্রায় আট হাজার কিলোমিটার হাঁটতে হবে।

জামিল আরও বলেন, ১৬ ডিসেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় টেকনাফ পৌরসভার জিরো পয়েন্ট থেকে যশোরের বেনাপোলের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ১১ ফেব্রুয়ারি বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। এরপর ৩ মার্চ ভারতের ওয়াগ্গা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন। ১৯ মার্চ পাকিস্তানের রিমদান সীমান্ত হয়ে ইরানে প্রবেশ করেন। এখন ইরানের বন্দর আব্বাস নামের এক জায়গায় অবস্থান করেন তিনি। তবে ভারত ও পাকিস্তানে কিছু জায়গায় তিনি গাড়িতে চড়ে পাড়ি দিয়েছেন। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়ায় তখন এই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাঁকে স্থানীয় পুলিশ সহযোগিতা করেছে।

মোহাম্মদ জামিল প্রথম আলোকে আরও বলেন, ১৯ মার্চ রিমদান সীমান্ত দিয়ে তিনি ইরানে প্রবেশ করেন। ইরানে প্রবেশ করার আগে পাকিস্তানি পুলিশ ও সাধারণ মানুষ তাঁকে অনেক সহায়তা করেছেন। ইরানে বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। দূতাবাসের লোকজন তাঁকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ইরান থেকে শিগগিরই তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যাবেন। তারপর দুবাই-আবুধাবি হয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করবেন তিনি।