
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘হা হা’ প্রতিক্রিয়া জানানোকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল বাজারে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় সবুজ মিয়া (১৮) নামের এক তরুণকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। আটক সবুজ নয়াবিল ইউনিয়নের আন্ধারুপাড়া গ্রামের ভুট্টু মিয়ার ছেলে। তিনি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম নাঈম ইসলাম (১৮)। তিনি নয়াবিল বাজারের মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে। নাঈম উপজেলার সরকারি নাজমুল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণি শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে সবুজ মিয়া তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে ‘হা হা’ প্রতিক্রিয়া জানান নাঈম। এ নিয়ে মুঠোফোনে সবুজের সঙ্গে নাঈমের কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় বাড়ি ফিরে নাঈমকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন সবুজ। দুই দিন আগে ঈদের ছুটিতে সবুজ বাড়িতে আসেন। আজ বেলা ১১টার দিকে নয়াবিল বাজারে নাঈমকে ডেকে পাঠান। নয়াবিল বাজারে অগ্রণী ব্যাংকের পেছনে নিয়ে নাঈমের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে সবুজ তাঁর হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নাঈমের বুকে আঘাত করেন। এ সময় নাঈম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
স্থানীয় লোকজন ও স্বজনেরা খবর পেয়ে দ্রুত নাঈমকে উদ্ধার করে প্রথমে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। জখম গুরুতর হওয়ায় পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা দেড়টার দিকে নাঈমের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী অভিযুক্ত সবুজকে আটক করে পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ফেসবুকে ‘হা হা রিঅ্যাক্ট’ দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্ত সবুজকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।