ফরিদপুর সদর উপজেলার পরমানন্দপুর বাজারে যুবদলের নেতৃত্বে এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলা শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা যুবদল
ফরিদপুর সদর উপজেলার পরমানন্দপুর বাজারে যুবদলের নেতৃত্বে এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলা শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা যুবদল

এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলায় সম্পৃক্ততা নেই, দাবি ফরিদপুর জেলা যুবদলের

ফরিদপুর জেলা যুবদল দাবি করেছে, গত রোববার সদর উপজেলার পরমানন্দপুর বাজারে সাবেক সংসদ সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ওই দিন ঘটনাস্থলে যুবদলের কোনো লিফলেট বিতরণ বা কর্মসূচি ছিল না। তবে ফরিদপুর সদর-৩ আসনে বিএনপি নেত্রী চৌধুরী নায়াব ইউসুফের পক্ষে কিছু নেতা-কর্মী সেখানে লিফলেট বিতরণ করছিলেন।

আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন জেলা যুবদলের নেতারা।

লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এ ঘটনার সঙ্গে যুবদলের কোনো নেতা-কর্মীর উপস্থিতি বা সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তা ছাড়া ফরিদপুর সদর উপজেলার কোনো ইউনিয়নে যুবদলের সাংগঠনিক কমিটিও নেই। বক্তব্যে আরও বলা হয়, এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলা নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে অতিরঞ্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বিদ্যমান আইন মেনে যে বা যারাই মাঠে তৎপরতা চালাবে, গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা তাদের কর্মকাণ্ডকে শ্রদ্ধা ও স্বাগত জানাই। কোনো ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার তৎপরতায় আমরা বিশ্বাসী নই কিংবা সমর্থনও করি না।’

কেন্দ্রীয় যুবদলের শোকজ নোটিশের প্রসঙ্গে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কারণ দর্শানোর ওই নোটিশে যাই লেখা থাকুক না কেন, এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলার কারণেই আমাদের ঢাকায় ডাকা হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার আমরা ঢাকায় গিয়ে জবাব দিয়েছি, আমাদের বক্তব্যে কেন্দ্র সন্তুষ্ট হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবদলের সভাপতি রাজীব হোসেন, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম ইউসুফ ও সাধারণ সম্পাদক আলী রেজোয়ান বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।