ধর্ষণ
ধর্ষণ

হবিগঞ্জে শিশুকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে আপত্তিকর ভিডিও দৃশ্য ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে চুনারুঘাট থানার পুলিশ আজ মঙ্গলবার চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা নথিভুক্ত করেছে। তবে ঘটনার পাঁচ দিনেও অভিযুক্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে চারজনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী শিশুর বড় ভাই। আদালতের বিচারক মো. মুমিনুল হাসান শুনানি শেষে চুনারুঘাট থানাকে আবেদনটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার চুনারুঘাট উপজেলার সফিক মিয়া (৫০), বাপ্পি মিয়া (২০), মনির মিয়া (১৯) এবং অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে আসামি করে মামলা হয়।

মামলার এজাহার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিশু ও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একই গ্রামের বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে গ্রামের একটি চারা বাগানে ঘাস খেতে যাওয়া ছাগল আনতে যায় শিশুটি। সেখানে তাকে একা পেয়ে ঝাপটে ধরেন একই গ্রামের বাসিন্দা সফিক মিয়া (৫০)। তিনি শিশুটির পূর্বপরিচিত। এরপর একটি ঝোপের আড়ালে নিয়ে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুটিকে বিবস্ত্র করে সফিক মিয়া তাঁর পরিচিত অপর তিন তরুণকে ভিডিও কল দিয়ে সেই দৃশ্য দেখান। পরে ওই তিন তরুণ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরাও ধর্ষণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবারের লোকজন এ নিয়ে গ্রামের মুরব্বিদের কাছে বিচার চান। তখন অভিযুক্ত সফিক মিয়াসহ অন্যরা শিশুটির আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এমনকি ভিডিও নিজেরাই সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে ওই দিন রাতে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় তার পরিবার। হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন চৌধুরী আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটি স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই বাড়িতে চলে যায়।

মামলার বাদী বলেন, প্রথমে তিনি চুনারুঘাট থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাঁদের আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরে তিনি সেই অনুযায়ী আদালতে এ মামলা করেন।

তবে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর শিশুটির পরিবার এ বিষয়ে পুলিশকে কিছুই জানায়নি। আদালতে মামলার পর পুলিশ অবগত হয়। আদালতের নির্দেশে চারজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি এফআইআর করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর দৃশ্যটি খুবই আপত্তিকর। পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।