দুর্বৃত্তদের কেটে দেওয়া কপিখেতে বসে আছেন ভুক্তভোগী কৃষক মহাবুল হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জাফরপুর বোরিং মাঠে
দুর্বৃত্তদের কেটে দেওয়া কপিখেতে বসে আছেন ভুক্তভোগী কৃষক মহাবুল হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জাফরপুর বোরিং মাঠে

চুয়াডাঙ্গায় রাতের আঁধারে বর্গা চাষির কপিখেত কেটে তছনছ

চুয়াডাঙ্গায় এক বর্গা চাষির প্রায় ১৫ কাঠা জমির কপিখেত কেটে ও উপড়ে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার জাফরপুর বোরিং মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী চাষির নাম মহাবুল হোসেন (লাল্টু)। তিনি অভিযোগ করেন, জমির সীমানা আল নিয়ে কথা–কাটাকাটির জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে তাঁর অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ভুক্তভোগী মহাবুল হোসেন জানান, শংকরচন্দ্র ইউনিয়নে বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের পেছনে জাফরপুর বোরিং মাঠে পাঁচ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে তিনি চলতি মৌসুমে সাড়ে তিন বিঘা জমিতে বাঁধাকপি ও দেড় বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় ১০ দিন পর সবজি সংগ্রহের উপযোগী হতো এসব খেত। গতকাল রাতে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আট কাঠা জমির বাঁধাকপি ও সাত কাঠা জমির ফুলকপি কেটে ও উপড়ে নষ্ট করেছে। এই কপিগুলো বিক্রি করা গেলে অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যেত।

কেন এমন ঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে মহাবুল বলেন, জমির সীমানা আল নিয়ে গতকাল এলাকার এক কৃষকের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয়। তিনি ওই সময় দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন। তাঁর ধারণা, ওই কৃষকের সরাসরি অংশগ্রহণ ও প্ররোচনায় দুর্বৃত্তরা কপিখেতের ক্ষতি করেছে। বিষয়টি সদর উপজেলা কৃষি অফিসকে জানানো হয়েছে। থানায় অভিযোগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

বেসরকারি সংগঠন কৃষক জোট চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলী এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, ‘জমিজমা, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বা বিভিন্ন রেষারেষির কারণে প্রতিপক্ষ এভাবে খেতের ফসল তছরুপ করে। ফসলের অপরাধ কী? এ ধরনের অপরাধীদের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সবজিখেত দেখতে একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে পাঠানো হয়েছে। এটি ফৌজদারি অপরাধ। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আইনি পদক্ষেপ নিলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।