
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর প্রস্তাবিত কদম রসুল সেতুর নগর প্রান্তের সংযোগ সড়কের প্রবেশপথ পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শহরের কালীর বাজার এলাকার ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ব্যস্ততম ফলপট্টি এলাকার পরিবর্তে অন্যত্র এই প্রবেশপথ নির্মাণের দাবি জানান।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ‘কালীর বাজার বৃহত্তর ব্যবসায়ীরা ও স্থানীয় জনসাধারণ’–এর ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়। এতে কালীর বাজার ও আশপাশের এলাকার ব্যবসায়ী ও লোকজন অংশ নেন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায়ী নাজির খান এবং সঞ্চালনা করেন রবিন হোসেন। এতে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, ব্যবসায়ী তপু চৌধুরী, মো. সুমন চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সংবাদমাধ্যমে তাঁরা জানতে পেরেছেন, শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিতব্য কদম রসুল সেতুর পশ্চিমপাড়ের প্রবেশপথ নামবে নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনে। এ সংবাদটি তাঁদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের ও আতঙ্কের। তাঁরা বলেন, কালীর বাজার ও তৎসংলগ্ন ফলপট্টি এলাকাটি অত্যন্ত ব্যস্ত সড়ক। এখানে আছে শহরের একটি বড় স্কুল—নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল এবং নারায়ণগঞ্জ কলেজ। আছে শহরের দুটি বড় বাজার—কালীর বাজার ও দিগুবাবু বাজার। এটি শহরের রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটের সংযোগ সড়ক হওয়ায় প্রতিনিয়ত এখানে ভয়াবহ যানজট লেগে থাকে। স্বাভাবিক সময়েও ব্যবসা পরিচালনা ও চলাচলে তাঁরা দুর্ভোগ পোহান। এর মধ্যে যদি সেতুর উঠানামার প্রবেশপথ এখানে স্থাপন করা হয়, তা হলে দুর্ভোগ আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।
এর আগে একই দাবিতে গত ৩ মে সংবাদ সম্মেলন করেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক আন্দোলনের নেতারা।
শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর কদম রসুল সেতু নির্মাণ প্রকল্প ২০১৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। যদিও সেতু নির্মাণের কাজ এখনো শুরু হয়নি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩৫ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত সেতুটি নগরের ফলপট্টি এলাকা থেকে শুরু হয়ে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকায় গিয়ে মিলিত হবে। সেতুটি নির্মাণ করবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সেতুর দৈর্ঘ্য ৩৮০ মিটার, প্রস্থ ১২ দশমিক ৮০ মিটার এবং সংযোগ সড়ক ১ হাজার ৩৭৯ মিটার।