Thank you for trying Sticky AMP!!

বান্দরবানের কচ্ছপতলীতে প্রথম আলো ট্রাস্টের শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রথম আলো ট্রাস্টের শীতের কম্বল পেয়ে সবাই খুশি। বুধবার বেলা ১১টায় বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার কচ্ছপতলী নিম্ন মাধ্যমিক আলোর পাঠশালা মাঠে

বান্দরবানের রোয়াংছড়ির কচ্ছপতলীতে নিম্নমাধ্যমিক আলোর পাঠশালার মাঠে সবেমাত্র শীতের কুয়াশার চাদর কেটে রোদ উঠেছে। কচি রোদকে সঙ্গে নিয়েই কেউ বাচ্চা কোলে, কেউ লাঠিতে ভর দিয়ে, কেউবা গলাভর্তি পুঁতির মালা পরে শীতের কম্বল নিতে এসেছেন। কম্বল পেয়ে লাঠিতে ভর দিয়ে আসা বৃদ্ধা শৈনুখয় মারমা বললেন, ‘কম্বলটি এই কচি রোদের মতোই আরাম দেবে।’

Also Read: ‘নরম তুলতুইলা কম্মল পাইনু, তুমরা হামরাকে মেলাই ভালোবাসিছো’

প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কচ্ছপতলী নিম্নমাধ্যমিক আলোর পাঠশালা মাঠে শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়। বিদ্যালয়ের দরিদ্র ছাত্রছাত্রী ও এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে ১০০টি কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল বিতরণ করেন রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি চোহাইমং মারমা।

এ সময় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য চাইনিং মারমা, পরিচালনা কমিটির সদস্য নু চ মং মারমা, আলেক্ষ্যং হেডম্যানপাড়ার কার্বারি (পাড়াপ্রধান) ত্লানম বম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাপ্রাত ত্রিপুরাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এক বছরের বাচ্চা কোলে নিয়ে আসা এয়ইনু মারমা বলেন, তুলতুলে কম্বলটি বাচ্চার জন্য খুবই কাজের হবে। সবকিছুর দাম বেশি। কম্বল কেনার জন্য টাকা কুলায় না। বয়স্ক নারী হ্লাঞো মারমা নিজ ভাষায় বলেন, ‘বয়সের কারণে কাজ করতে পারি না। কিন্তু খাওয়া, শীতের কাপড় তো লাগে। এই কম্বল কনকনে শীতে আমাদের সম্বল হয়েছে। তোমাদের জন্য আশীর্বাদ থাকল।’

গলাভর্তি পুঁতির মালা পরে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকে পায়ে হেঁটে এসেছিলেন দৈনতি ত্রিপুরা ও সামাউ ত্রিপুরা। তাঁরা বললেন, দিনে শীত কম হলে রাতে সমতলের চেয়েও পাহাড়ে শীত বেশি। শীত কাটাতে কম্বল পেয়ে খুব খুশি তাঁরা।

প্রথম আলো ট্রাস্টের শীতের কম্বল নিয়ে বাড়ি ফিরছেন পাহাড়ি নারীরা। বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার কচ্ছপতলীতে

বান্দরবান জেলা শহরের ৩০ ও রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে কচ্ছপতলী এলাকায় মারমা, বম, ত্রিপুরা, খেয়াং ও তঞ্চঙ্গ্যা জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। বাসিন্দাদের অধিকাংশই দরিদ্র, তাঁরা দুর্গম পাহাড়ে থাকেন।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চোহাইমং মারমা বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা, শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কাজে কচ্ছপতলী এলাকাবাসীর পাশে থাকার জন্য প্রথম আলো ট্রাস্টের কাছে এলাকার সবাই কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে পাশে থাকলে এলাকার উন্নয়ন সহজ হবে।

প্রসঙ্গত, প্রথম আলো ট্রাস্টের শীতবস্ত্র বিতরণের এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি। শীতার্ত মানুষের জন্য ৫০০ কম্বল দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। হিসাব নম্বর: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল, হিসাব নম্বর: ২০৭২০০০০১১১৯৪; ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা। অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন, ০১৭১৩০৬৭৫৭৬ এই পেমেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমে আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন।