পথসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। আজ শনিবার দুপুরে কক্সবাজার শহরে
পথসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। আজ শনিবার দুপুরে কক্সবাজার শহরে

শিলং থেকে কক্সবাজারে নব্য ‘গডফাদার’ এসেছে—সালাহউদ্দিনকে ইঙ্গিত করে নাসীরুদ্দীন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘আগে আওয়ামী লীগের আমলে নারায়ণগঞ্জে বিখ্যাত গডফাদার শামীম ওসমান ছিল; এখন শুনছি কক্সবাজারে নব্য গডফাদার শিলং থেকে এসেছে। ঘের দখল করছে, মানুষের জায়গা জমি দখল করছে, চাঁদাবাজি করছে। তার নাম না বললাম, আবার নাকি সে সংস্কার বোঝে না।’

আজ শনিবার দুপুরে কক্সবাজারে এনসিপি আয়োজিত পথসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির’ অংশ হিসেবে শহরের লালদিঘির পাড়ের পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানে আয়োজিত এই পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যদের দিকে ইঙ্গিত করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘কক্সবাজারের জনতা এ ধরনের সংস্কারবিরোধী, যে পিআর বোঝে না, রাজপথে তাদের ঠেকিয়ে দেবে ইনশা আল্লাহ।’

ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল। আজ শনিবার কক্সবাজার শহরে

ছাত্রদলের বিক্ষোভ

এনসিপির সমাবেশে সালাহউদ্দিন আহমদকে ইঙ্গিত করে দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে আজ শনিবার সন্ধ্যায় শহরের প্রধান সড়কের ঘুমগাছতলায় পুরোনো শহীদ মিনার চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা ছাত্রদল। সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুর রহমান, ছাত্রদলের নেতা মিজানুল আলম, সাইফুর রহমান প্রমুখ।

এরপর প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। এ সময় এনসিপির নেতাদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।

সমাবেশে ছাত্রদলের নেতা শাহাদত হোসেন বলেন, ‘সালাহউদ্দিন আহমদ কক্সবাজারের গর্ব। তাঁর বিরুদ্ধে কটূক্তি মানে সমগ্র জেলার মানহানির শামিল। যারা এ ধরনের মন্তব্য করে, তারা কক্সবাজারবাসীর ভালো চায় না।’

ফাহিমুর রহমান বলেন, ‘আমরা রাজনীতিতে ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু কুরুচিকর ভাষা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্য শুধু অশোভন নয় বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং উসকানিমূলক। তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।’