Thank you for trying Sticky AMP!!

বরিশালে মেয়র প্রার্থীর ৩ কর্মীকে থানায় ডেকে নেওয়ার পর পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার

বরিশার সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসানের তিন সমর্থককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান ওরফে রূপণের তিন কর্মীকে থানায় ডেকে নেওয়ার পর পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন মো. রমজান, মো. মোনায়েম খান ও সৈয়দ রফিকুল ইসলাম।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে মহানগরের বিমানবন্দর থানার পুলিশ ওই তিনজনকে বাসা থেকে থানায় ডেকে নেন বলে অভিযোগ করেন মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান। তিনি বলেন, রমজান যুবদলের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক। মোনায়েম খান ও সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বিএনপির কর্মী।

বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন আজ শনিবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ওই তিনজন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় করা পুরোনো একটি মামলার আসামি। আজ বিকেলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কামরুল আহসান অভিযোগ করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে আমার নির্বাচনী কার্যালয়ের তিন কর্মীকে গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে পুলিশ বাড়ি থেকে থানায় ডেকে নিয়ে যায়। বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলালউদ্দিন কথা বলবেন জানিয়ে তাঁদের বাড়ি থেকে থানায় আনার পর আটক করা হয়। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। মূলত আমার নির্বাচন বানচাল ও কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখানোর জন্য হয়রানির অংশ হিসেবে এসব করা হচ্ছে।’

স্বতন্ত্র এ মেয়র প্রার্থী আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে আজ সকাল ৯টা থেকে দেড় ঘণ্টা থানায় অবস্থান করে তিনজনকে আটক করার কারণ জানার চেষ্টা করি। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সদুত্তর পাইনি। বিষয়টি পুলিশ কমিশনারকেও অবহিত করেছি।’

কামরুল আহসান ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা। তাঁর বাবা বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আহসান হাবিব কামাল। তিনি গত বছর মারা যান। আহসান হাবিব কামাল বরিশাল নগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্যজীবীবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।