লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি । রামগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি । রামগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে

নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে: লক্ষ্মীপুরে এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনের দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক আমরা উঁচিয়ে ধরব তারেক রহমানের নেতৃত্বে। নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যেক ঘরে যেতে হবে। সব প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে হবে। বিশেষ করে আমাদের মা-বোনদের কাছে, যাঁরা বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এটা তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত।’

আজ শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রামগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে এ আয়োজন করা হয়।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘আজ সবাই এক মঞ্চে। আমরা এক মঞ্চে মিলিত হয়েছি। রামগঞ্জে আমরা ঐক্যের বন্ধন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। এখানে কোনো পক্ষ-বিপক্ষ নাই। এখানে কোনো মতভেদ নাই।’

রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী।

রামগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শেখ কামরুল হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় ১২–দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আশরাফ উদ্দিন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।

প্রায় ৩৭ বছর পর রামগঞ্জে বিএনপির সম্মেলন হচ্ছে। সম্মেলনে দলটির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হন। সম্মেলনকে ঘিরে সম্মেলনস্থল ও শহরের বিভিন্ন সড়ক তোরণ, ফেস্টুন আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে রামগঞ্জে বিএনপির সম্মেলন হয়। এরপর যত কমিটি হয়েছে সবই সমঝোতার মাধ্যমে। সর্বশেষ গত দুই বছর ধরে চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তৎপর হয়ে ওঠেন। আত্মগোপনে থাকা নেতা-কর্মীরা ফিরতে শুরু করেন। কারাবন্দী নেতা-কর্মীরা জামিনে মুক্ত হয়ে এসে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদ কারা পাচ্ছেন, তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। সম্মেলন ঘিরে উপজেলা ও শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রার্থীদের ছবি–সংবলিত ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনে ভরে গেছে।

সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের পদের জন্য মোট ১৯ জন নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির জন্য ৭১০ জন কাউন্সিলর তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আর পৌর বিএনপিরও ৭১০ জন কাউন্সিলর রয়েছেন।