৯ দফা দাবিতে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকালে
৯ দফা দাবিতে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকালে

৯ দফা দাবিতে হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ–সংকট ও সেশনজট নিরসন, ক্রেডিট ফি কমানো, অবৈধ নিয়োগ বাতিল, টিএসসি থেকে ব্যাংক অপসারণ করাসহ ৯ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। পরে প্রশাসন ভবন মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কৃষি অনুষদের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার জিহাদ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে প্রথম দাবি রেখেছিলাম গণ–অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগের মতো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেনি, তাদের সুরক্ষা দিয়েছেন। সেশনজটের কবলে পড়ে কোনো কোনো শিক্ষার্থীর তিন-চার বছর পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় লাগছে। অথচ শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ আমরা দেখিনি। আজ আবারও যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।’

ইংরেজি বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইজ হোসেন বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য থাকাকালীনও আমরা বিভিন্ন দাবি জানিয়ে এসেছি। তন্মধ্যে শুধু বাস শিডিউল পরিবর্তনের দাবি মানা হয়েছে। অন্য বিষয়গুলোর প্রতি প্রশাসনের কোনো মনোযোগ নেই। আগস্ট–পরবর্তী সময়ে নতুন উপাচার্য আসার পরেও আমাদের দাবি তুলে ধরেছি।’

প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী প্রশাসন ভবন মিলনায়তনে বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনা হয়। পরে মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিটি ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। তবে এসব দাবির কোনোটি একাডেমিক কাউন্সিলে পাস হবে, আবার কোনোটির জন্য রিজেন্ট বোর্ড লাগবে। প্রতিটির জন্য নির্ধারিত রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে এসব যৌক্তিক দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে শতাধিক শিক্ষকের চাহিদা পাঠিয়েছে।