Thank you for trying Sticky AMP!!

গ্রেপ্তার

সাবরেজিস্ট্রারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

‘অনৈতিক সুবিধা’ না পেয়ে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে পৌর শহরের কাগমারি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার নাম মো. ইলিয়াছ মিয়া (৪৫)। তিনি উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের একজন দলিল লেখক। তিনি ওই ইউনিয়নের টুপকারচর গ্রামের বাসিন্দা।

ইলিয়াছ মিয়াসহ কয়েকজন দলিল লেখক গত বুধবার বিকেলে সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে সাব–রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাবরেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মোহাম্মদ তামীম বাদী হয়ে সাতজনের নাম এবং আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে দলিল লেখক মো. শহিদুল্লাহ সাবরেজিস্ট্রারের কাছে একটি হেবানামা (দান দলিল) সম্পাদন করতে যান। জমির জন্য কোনো টাকা লেনদেন করা হয়েছে কি না? দাতার কাছে সাবরেজিস্ট্রার জানতে চান। এ সময় জমিদাতা টাকা লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে সাবজেরিস্ট্রার সাফকবলা করার জন্য বলে দলিলটি ফেরত দেন। পরে মো. শহিদুল্লাহ অন্যান্য দলিল লেখকসহ ১৫–২০ জনকে নিয়ে সাবরেজিস্ট্রারের খাসকামরায় প্রবেশ করে ওই দলিল হেবানামা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু সাবরেজিস্ট্রার রাজি না হওয়ায় তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ওই কামরায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলেন এবং তাঁকে হত্যার হুমকি দেন।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান প্রথম আলোকে বলেন, সাবরেজিস্ট্রারকে ভয়ভীতি, সরকারি কাজে বাধা, কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এর পর অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।