চট্টগ্রাম উত্তরের ৭ আসন

বিরোধ মেটানোর চেষ্টায় বিএনপি

জামায়াতে ইসলামী প্রতিটিতেই দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রায় ৮ মাস ধরে জনসংযোগ করে আসছেন তাঁরা।

চট্টগ্রাম উত্তরের সাতটি আসনের মধ্যে সন্দ্বীপ ও রাউজান ছাড়া বাকি পাঁচটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। প্রার্থী ঘোষণার পর প্রকাশ্যে আসে দলের নেতা-কর্মীদের বিরোধ। প্রার্থীরা এলাকায় জনসংযোগ শুরু করলেও তাঁদের সঙ্গে নেই দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্য নেতা ও তাঁদের অনুসারীরা। উল্টো দল মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন তাঁরা। এখন বিরোধ মেটানোর চেষ্টায় রয়েছে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, দল যাঁকে যোগ্য মনে করেছে, তাঁকে প্রার্থী করেছে। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে সবাই ধানের শীষের জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবেন।

জামায়াতে ইসলামী এসব আসনের প্রতিটিতেই দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রায় ৮ মাস ধরে এলাকায় জনসংযোগ করে আসছেন দলের প্রার্থীরা। নির্বাচন সামনে রেখে কোনো প্রচার-প্রচারণায় নেই জাতীয় পার্টি। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রার্থী ঘোষণা না করলেও প্রতিটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৎপর রয়েছেন। কিছু আসনে প্রার্থী দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টসহ কয়েকটি ইসলামপন্থী দলের প্রার্থীরাও মাঠে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম নগরসহ জেলায় সংসদীয় আসন রয়েছে ১৬টি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম উত্তরের সাতটি উপজেলায় আসন রয়েছে সাতটি। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের উত্তরের সাতটি আসনে বিএনপি জয় পেয়েছে বেশি—২০ বার। অন্যদিকে ওইসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (বর্তমানের কার্যক্রম নিষিদ্ধ) জয় পায় (একবার উপনির্বাচনসহ) ১১ বার। জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বিলুপ্ত ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) একবার করে জয় পায়। এ ছাড়া দুবার জয় পান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে প্রার্থী থাকলেও জামায়াতে ইসলামী এসব আসনে কখনো জয় পায়নি। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে একক নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগের।

চট্টগ্রাম নগরসহ জেলায় সংসদীয় আসন রয়েছে ১৬টি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম উত্তরের সাতটি উপজেলায় আসন রয়েছে সাতটি। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের উত্তরের সাতটি আসনে বিএনপি জয় পেয়েছে বেশি-২০ বার। অন্যদিকে ওইসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (বর্তমানের কার্যক্রম নিষিদ্ধ) জয় পায় (একবার উপনির্বাচনসহ) ১১ বার। জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বিলুপ্ত ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) একবার করে জয় পায়। এ ছাড়া দুবার জয় পান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে প্রার্থী থাকলেও জামায়াতে ইসলামী এসব আসনে কখনো জয় পায়নি। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে একক নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগের।

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই)

বিএনপি এই আসনে প্রার্থী করেছে দলের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিনকে। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থী ছিলেন তিনি। আসনটিতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আরও ছিলেন জেলা শাখার আরেক সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী ও ব্যবসায়ী নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। প্রার্থী পরিবর্তন চেয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে ১১ জন নেতা চিঠি দিয়েছেন।

জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থী চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। কেউ না এলে সেটি তাঁদের বিষয়।’

উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য নুরুল আমিনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তড়িঘড়ি করে তা প্রত্যাহার করে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এতে ধানের শীষের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়বে।

জামায়াতে ইসলামী এসব আসনের প্রতিটিতেই দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রায় ৮ মাস ধরে এলাকায় জনসংযোগ করে আসছেন দলের প্রার্থীরা। নির্বাচন সামনে রেখে কোনো প্রচার-প্রচারণায় নেই জাতীয় পার্টি। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রার্থী ঘোষণা না করলেও প্রতিটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৎপর রয়েছেন। কিছু আসনে প্রার্থী দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টসহ কয়েকটি ইসলামপন্থী দলের প্রার্থীরাও মাঠে রয়েছেন।

এই আসনে ১৯৯১, ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি, জুন) ও ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৯৬ (উপনির্বাচন) ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হন।

মিরসরাইয়ে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন দলের উপজেলা শাখার সেক্রেটারি সাইফুর রহমান। এনসিপির উত্তর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন এবং ইসলামী আন্দোলনের হয়ে ফেরদৌস আহমদ চৌধুরীও মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি)

এই আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের উত্তর জেলা শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর। তাঁকে প্রার্থী ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আজিম উল্লাহ বাহারের অনুসারীরা সড়ক অবরোধ করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আজিম উল্লাহ দলীয় প্রার্থী ছিলেন। সরোয়ার আলমগীর প্রচারণা শুরু করলেও আজিম উল্লাহ বাহারের অনুসারীরা তাঁর সঙ্গে নেই।

ফটিকছড়িতে ১৯৯১, ১৯৯৬  (জুন) ও ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন বিএনপির প্রার্থী। এ ছাড়া ১৯৯৬–এর ফেব্রুয়ারিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হন।

ফটিকছড়িতে জামায়াতের প্রার্থী দলের নগর শাখার সেক্রেটারি নুরুল আমিন। এ ছাড়া গণসংহতি আন্দোলন থেকে মিজানুর রহীম চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন থেকে জুলফিকার আলী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে আবদুল হামিদ নির্বাচন সামনে রেখে জনসংযোগ করছেন।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ)

বিএনপি এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ও তরিকুল আলম।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী জোট হলে বিএনপি আসনটি এলডিপির জন্য ছেড়ে দিতে পারে। এলডিপির পক্ষ থেকে এই আসনে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এই আসনে ১৯৯১, ১৯৯৬ (জুন) আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচিত হয়। অপরদিকে ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি), ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করেন।

সন্দ্বীপে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন দলের উত্তর জেলার আমির আলাউদ্দিন সিকদার। এ ছাড়া আসনটিতে ইসলামী আন্দোলন থেকে আমজাদ হোসেন এবং গণসংহতি আন্দোলন থেকে তাহসিন মাহমুদকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এনসিপি এখনো প্রার্থী দেয়নি।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড)

সীতাকুণ্ড আসনে বিএনপির প্রার্থী উত্তর জেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিন। প্রার্থী ঘোষণার পর বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর অনুসারীরা মহাসড়ক অবরোধ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। আসলাম চৌধুরীর পক্ষে রাস্তায় নেমে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন সাতজন নেতা।

কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমি মনোনয়ন চেয়ে জীবনবৃত্তান্তও জমা দিইনি। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে।’  তবে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে এখনো আশাবাদী আসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে। ধানের শীষ প্রতীক আমারই থাকবে। আমি নির্বাচন করব।’

এই আসনে ১৯৯১, ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি) ও ২০০১ সালে বিএনপি জয়ী হয়। ১৯৯৬ (জুন) ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করেন।

আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী করা হয়েছে দলের উত্তর জেলা শাখার সেক্রেটারি আনোয়ারুল সিদ্দিকীকে। এ ছাড়া এনসিপি থেকে তানজিদ রহমান, গণসংহতি আন্দোলন থেকে জাহিদুল আলম আল জাহিদ, ইসলামী আন্দোলন থেকে দিদারুল মাওলা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে আবুল আসাদ মো. জুবায়ের রেজভী মাঠে রয়েছেন।  

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও বায়েজিদের একাংশ)

দলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে বিএনপি থেকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এই আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক এবং সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে শাকিলা ফারজানা।

প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে ফজলুর হকের অনুসারীরা সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নেতা-কর্মীরা চাইছেন প্রার্থী পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনার জন্য।

বিএনপির প্রার্থী মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্যাতন সহ্য করে দীর্ঘ ১৭ বছর হাটহাজারীবাসীর সঙ্গে ছিলাম। ছোটখাটো বিরোধিতায় মানুষ বিভ্রান্ত হবে না।’

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী হিসেবে হাটহাজারীতে মাঠে রয়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দিন মুনির। জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আবদুল মালেক।

এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন থেকে মতিউল্লাহ নুরী ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে মীর আবদুর রহিম মুনিরী প্রার্থী হিসেবে জনসংযোগ করছেন। তবে এনসিপি এখনো প্রার্থী দেয়নি।

১৯৯১, ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি, জুন), ২০০১ সালে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট হয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়লাভ করেন।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান)

রাউজানে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী মনোনয়নপ্রত্যাশী। স্থানীয় রাজনীতিতে দুজনের বিরোধ দীর্ঘদিনের।

রাউজানে গত বছরের ৫ আগস্টের পর সহিংসতায় মোট ১৭টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিএনপির দুই নেতার অনুসারীদের কোন্দলের জেরে খুন হন অন্তত ৭ জন। এ ছাড়া একই সময় শতবারের বেশি সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুটি পক্ষ।

১৯৯১ সালে এনডিপি, ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি, জুন) বিএনপি, ২০০১ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করেন।

এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী উপজেলা আমির শাহজাহান মঞ্জুর। এ ছাড়া গণসংহতি আন্দোলন থেকে নাসির উদ্দিন তালুকদার, ইসলামী ফ্রন্ট থেকে ইলিয়াস নুরী ও ইসলামী আন্দোলন থেকে জিয়াউর রহমান মাঠে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া)

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী দলীয় প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় থাকা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন বাহার মনোনয়ন না পাওয়ায় তাঁর অনুসারীরা ক্ষুব্ধ। হুম্মামের সঙ্গে তাঁরা মাঠে নামেননি।

হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ‘সবার সঙ্গে আমি কথা বলছি, ইতিমধ্যে বসেছি। অনেকেই দলের প্রার্থীর পক্ষে চলে এসেছেন।’

কুতুব উদ্দিন বাহার বলেন, ‘দল এখনো চূড়ান্ত প্রার্থী দেয়নি, তাই অপেক্ষায় রয়েছি। দল যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটি মেনে নেব।’

এই আসনে ১৯৯১ সালে কমিউনিস্ট পার্টি, ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী), একই বছরের জুনে বিএনপি, ২০০১ সালে বিএনপি এবং ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ জয় পায়।

এই  আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জামায়াত–সমর্থিত ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) চট্টগ্রাম নগরের সভাপতি এ টি এম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাতে ১৭ বছর জিম্মি থাকা রাঙ্গুনিয়াবাসী পরিবর্তনের অপেক্ষায়।’