
গ্যাস–সংকটে প্রায় আট মাস ধরে বন্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানার ইউরিয়া উৎপাদন চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। আজ বুধবার সকালে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে কারখানার সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কারখানা সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ সার কারখানায় দিনে অন্তত ১ হাজার ১৫০ টন ইউরিয়া উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। এ জন্য প্রতিদিন অন্তত ৪ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন। গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ না করায় সার উৎপাদন বন্ধ ছিল। পরে শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে গত ১৫ নভেম্বর গ্যাস সরবরাহ শুরু করে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এরপর ২৩ জানুয়ারি সার উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু ৩৮ দিন পর চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে আবার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে আবার কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
আজ সকালে শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা কারখানার সামনে জড়ো হন। শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বজলুর রশিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সার কারখানার উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু কাউসার, বাংলাদেশে কেমিক্যাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদী মো. তানভীর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গুণগত মানসম্পন্ন হওয়ায় আশুগঞ্জ সার কারখানার ইউরিয়ার চাহিদা বেশি। কারখানাটি চালু রাখতে পারলেই সরকার লাভ হবে। কিন্তু একটি মহল বিদেশ থেকে সার আমদানির মাধ্যমে কমিশন–বাণিজ্য করতে বছরের বেশির ভাগ সময় আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে। এতে কারখানাটি দিন দিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে সার উৎপাদন চালু না করলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। পরে সমাবেশ শেষে কারখানা চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।