শেরপুর জেলা পোস্ট অফিস থেকে গ্রাহকদের জাল টাকা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন শেরপুর পোস্ট অফিসের ক্যাশিয়ার মানিক মিয়া ও ট্রেজারার হাফিজুর রহমান।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল আদালতে হাফিজুর রহমান ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্যদিকে মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ১৩ অক্টোবর শেরপুর সদর উপজেলার গণইমিনাকান্দা গ্রামের শাহিনা বেগম উত্তরা ব্যাংকে ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা জমা দিতে যান। ব্যাংক কর্মকর্তারা টাকা গণনা করার সময় ৫৩টি ১ হাজার টাকার নোট জাল বলে শনাক্ত করেন। এর আগে ৯ অক্টোবর শেরপুর সোনালী ব্যাংকে নুহু মিয়া নামে এক ব্যক্তি ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা জমা দিতে গেলে তাঁর টাকাতেও ২৫টি ১ হাজার টাকার জাল নোট ধরা পড়ে। দুজনই জানান, তাঁরা ওই টাকা শেরপুর পোস্ট অফিস থেকে তুলেছিলেন।
জাল টাকার ঘটনা প্রকাশের পর থেকে প্রশাসন, ডাক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্ত শুরু করে। ভুক্তভোগী শাহিনা বেগম বাদী হয়ে শেরপুর থানায় মামলা করেন।
শেরপুরের আদালত পরিদর্শক জিয়াউর রহমান বলেন, হাফিজুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন এবং মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। দুই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী বুধবার রিমান্ড শুনানি হবে।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোবাইদুল আলম বলেন, ঘটনাটি জানার পরপরই তদন্ত শুরু হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কয়েকজন সন্দেহের তালিকায় আছেন। ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।